আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় চাপ কমাতে নতুন কিছু নিয়ম করেছে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সাউথ চীনা মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, প্রাইমারি এবং মাধ্যমিক স্কুলে কী শেখানো যাবে, আর কী শেখানো যাবে না এমন একটি তালিকা করে দিয়েছে চীন সরকার। গত দশ বছর ধরে এই তালিকা প্রণয়নের চেষ্টা চলছিল।
নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, তথাকথিত ভালো প্রতিষ্ঠানের ভর্তিযুদ্ধে টিকতে উপযুক্ত বয়সের আগে বাড়তি কিছু শেখানো যাবে না শিক্ষার্থীদের।
চীনের জাতীয় উচ্চশিক্ষা বা গাওকাওর আগে তুমুল প্রতিযোগিতা হয়। শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে নির্ধারিত বয়সের আগেই বাচ্চাদের নিয়ে রীতিমতো লড়াইয়ে নামেন অভিভাবকেরা। কয়েক দশক ধরে দেশটিতে এই অবস্থা চলছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চার গ্রেডের নিচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্কুলের সময় কিংবা ছুটির পর কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বা কোচিং চালানো যাবে না। উপযুক্ত লেভেলে ওঠার আগে শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান এবং রসায়ন পড়ানো থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
দেশটির জাতীয় শিক্ষা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের গবেষক চু ঝাহুই এ বিষয়ে বলেছেন, আমরা দশ বছর আগে একটি পরীক্ষা বন্ধ করতে চেয়ে পারিনি। এখনও এসব চলছে। নামীদামি স্কুলে ছেলে-মেয়েকে ভর্তি করাতে মানুষ রীতিমতো পাগল।
চীনের অল্প বয়সী শিক্ষার্থীদের কেমন প্রতিযোগিতার ভেতর দিয়ে যেতে হয় সেটি বোঝা গেল সাংহাইয়ের এক নারীর কথায়। লিন নামের ওই নারীর সন্তান টু-গ্রেডের শিক্ষার্থী।
তিনি বলছিলেন, আমার বাচ্চা স্কুলের পর পাঁচ জায়গায় কোচিং করে। আগেভাগে সব কিছু শেখাতে না পারলে এখানে প্রতিযোগিতায় টেকানো যায় না। তাই বাধ্য হয়ে করাতে হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।