জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাকালে বাংলাদেশে যেভাবে সাংবাদিকদের সহায়তা করা হচ্ছে, ভারত-পাকিস্তানসহ উপমহাদেশের কোথাও এমন উদাহরণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং যেভাবে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের করোনাকালিন সহায়তা দেয়া হচ্ছে তা আশেপাশের কোন দেশে দেয়া হচ্ছেনা। ভারতে দেয়া হচ্ছে না, নেপালে দেয়া হচ্ছে না, পাকিস্তানেও দেয়া হচ্ছে না।
মন্ত্রী বুধবার যশোর সার্কিট হাউজ সভাকক্ষে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে খুলানা বিভাগের ৯ জেলার সাংবাদিকদের মধ্যে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ৩০ জুন বাজেট পাশের দিন আমার পিএস ফোনে জানালো সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্টের যে টাকা দিতে বলেছিলেন সে টাকা অর্থমন্ত্রনালয় ছাড় করছে না। আপনাকে অর্থমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে হবে। আমি পার্লামেন্টেই অর্থমন্ত্রীর কাছে ছুটে যাই এবং টাকাটা ছাড় করে দেয়ার ব্যবস্থা করি।
প্রাথমিক ভাবে এই সহায়তা দেয়া হচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে আবারও দেয়া হবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার সকলের। যারা সব সময় সরকারের সমালোচনা করে সেই সাংবাদিকদেরও সহায়তা দেয়া হবে।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক নেতা-কর্মী, এমপি, মন্ত্রী মারা গেছেন। তাই বলে হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থাকার শিক্ষা আমাদের নেত্রী আমাদের দেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৪ বছর বয়সে একদিনের জন্যেও বসে থাকেননি। তিনি মানুষের জন্যে কাজ করে যাচ্ছেন। আর বিএনপির নেতারা টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে কথা বলেন। জনগণের পাশে তারা নেই। আর ঘরে বসে বিএনপির নেতারা টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে মুখ দেখাচ্ছে। তারা মানুষের পাশে নেই।
তিনি বলেন, অনেক ধনী দেশে করোনাকে অবজ্ঞা করা হয়েছিল এবং সেই দেশগুলোতে এখনো মৃত্যুর মিছিল চলছে। পৃথিবীর কোন জায়গা এই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকেনি। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে করোনা থেকে মুক্ত রাখতে যতটুকু সম্ভব সেটি করার চেষ্টা করে আসছেন।
ড হাছান বলেন, করোনায় আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যুর হার পৃথিবীর সর্বনিম্ন যে কটি দেশ তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম এবং এটা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সফল নেতৃত্বের কারনে। বাংলাদেশে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলংকার চেয়েও মৃত্যুর হার কম। বাংলাদেশ একটি খেটে খাওয়া মানুষের দেশ। কোটি কোটি মানুষ প্রাত্যহিক উপার্জনের উপর নির্ভর করে। এই দেশে গত প্রায় পাঁচ মাস সময় ধরে লোকজন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। এই সময়ে বাংলাদেশে অনেকের কাজকর্ম বন্ধ। কিন্তু একটি মানুষও না খেয়ে মৃত্যুবরণ করেনি।
এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিকরাও সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকরা জীবনটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে কাজ করছেন। এই জন্যে তাদেরকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান তিনি।
মন্ত্রী গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম কর্মিদের সরকারের সাথে সমন্মিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, শেখ হানিসা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন তিনি বিশ্বের কাছেও অনুকরনীয় নেতৃত্বের উদাহরণ। তিনি সংবাদপত্র মালিকদের প্রতি সাংবাদিকদের অসুবিধা সাথে ভাগ করে নেয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহামুদ, জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মিলন রহমান।
যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার ৩শ ৩৮ জন সাংবাদিকের মাঝে এই চেক বিতরণ করা হয়। সূত্র : বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।