Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home করোনায় হাঁসফাঁস করছে মধ্যবিত্তরা
    Coronavirus (করোনাভাইরাস) অর্থনীতি-ব্যবসা জাতীয়

    করোনায় হাঁসফাঁস করছে মধ্যবিত্তরা

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কJuly 3, 20205 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক: করোনাকালে গরিবের জন্য খাদ্য ও অর্থ সহায়তা আছে৷ উচ্চবিত্তের জন্য আছে শিল্পের প্রণোদনা৷ কিন্তু মধ্যবিত্তের জন্য কী আছে? খবর ডয়চে ভেলের।

    বিশ্বব্যাংক আর গবেষকরা মধ্যবিত্তের একটা চেহারা দাঁড় করিয়েছেন আয় অথবা ক্রয় ক্ষমতা দিয়ে৷ কিন্তু বাংলাদেশে এই করোনায় ঢাকা শহরের মধ্যবিত্ত চেনা যাচ্ছে ভাড়া বাড়ি ছেড়ে গ্রামে যাওয়ার মধ্য দিয়ে৷ কারণ, মধ্যবিত্ত ত্রাণের লাইনে দাঁড়াতে পারেন না৷ অভাবের কথা মুখ ফুটে বলতেও পারেন না৷ মধ্যবিত্তের অবস্থান মাঝখানে৷ তাই না পারে নীচে নামতে , না পারে উপরে উঠতে৷ এই করোনাকালে তাই সে হাঁসফাঁস করছে মধ্যবিত্ত৷

    এখন আমরা যাদের দেখছি, তারা সংজ্ঞায়িত হয়েছে মধ্যবিত্তের প্রথম টায়ার হিসেবে৷ তবে এই করোনা যদি দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে আরো পরের টায়ারেও আঁচ লাগবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা৷

    কারা মধ্যবিত্ত

    বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ খানা জরিপ অনুযায়ী করোনার আগে বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ২০.৫ ভাগ দারিদ্র্য সীমার নীচে ছিল৷ আর চরম দরিদ্র ছিল ১০ ভাগ৷

    বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, এক জনের দৈনিক আয় এক ডলার ৯০ সেন্ট হলে ওই ব্যক্তিকে দরিদ্র  ধরা হয় না৷ এর নীচে হলে দরিদ্র৷ এখন মধ্যবিত্তের আয়সীমা কত? এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বলছে, এক ব্যক্তির ক্রয় ক্ষমতা (পিপিপি) যদি প্রতিদিন দুই মার্কিন ডলার থেকে ২০ মার্কিন ডলারের মধ্যে হয় তাহলে তাকে মধ্যবিত্ত বলা যায়৷ এই হিসেবে তারা বলছে, বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত হলো তিন কোটি ৭ লাখ৷ বিশ্বব্যাংকের মধ্যবিত্তের আয়ের হিসেবটি একটু বেশি৷ যাদের প্রতিদিন আয় ১০ থেকে ৫০ ডলার, তারা মধ্যবিত্ত৷

    তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দুই থেকে চার ডলার প্রতিদিনের আয় হলেই  মধ্যবিত্ত৷ সেই হিসেবে যার মাসিক আয় ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা সেই মধ্যবিত্ত৷ এটা বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৩০ ভাগ৷ ১৬ কোটি মানুষের হিসেবে সংখ্যাটি দাঁড়ায় চার কোটি ৮০ লাখ৷

    বিআইডিএস-এর সাম্প্রতিক জরিপে বলা হচ্ছে, করোনায় এক কোটি ৬৪ লাখ মানুষ নতুন করে গরিব হয়েছে, দারিদ্র্য সীমার নীচে নেমে গেছে৷ তাই এখন দেশে গরিব মানুষের সংখ্যা পাঁচ কোটির বেশি৷

    মধ্যবিত্ত কি দরিদ্র হচ্ছে

    এই যে দেড় কোটি লোক নতুন করে দরিদ্র হলেন, তারা কি মধ্যবিত্ত ছিলেন? চট করে এর জবাব দেয়া কঠিন৷দারিদ্র্য সীমার একটু উপরে একটি বড় জনগোষ্ঠী আছে৷ তারা যে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে দরিদ্র হয়ে যান৷ আবার পরে পরিস্থিতি কটিয়ে ওঠেন৷ ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কে এ এম মোরশেদ বলেন, ‘‘দিনে ১.৯ ডলারের দ্বিগুণ যাদের আয় তাদের আমরা বলি নিম্ন মধ্যবিত্ত৷ এরাই এখন সবচেয়ে বেশি সংকটের মুখে আছেন৷ তারাই হয়তো দরিদ্রের কাতারে নেমে গেছেন৷ কিন্তু যারা মধ্যবিত্ত, তারা এখনো টিকে আছেন৷ তাদের সংখ্যা হয়তো ঠিকই থাকবে৷ হয়তো ব্যক্তির পরিবর্তন হবে৷ কারণ, নতুন পরিস্থিতিতে পেশার পরিবর্তন হবে৷ নতুন ধরনের ব্যবসা আসবে, কাজ আসবে৷ কেউ ভালো অবস্থায় যাবেন৷ আবার কেউ খারাপ অবস্থায় পড়বেন৷”

    বিআইডিএস এর জরিপ

    বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)-এর জরিপে দেখা গেছে, করোনায় ফর্মাল সেক্টরে কাজ করা ১৩ শতাংশ মানুষ চাকরি হরিয়েছেন৷

    যাদের আয় ১১ হাজার টাকার কম তাদের ৫৬.৮৯ শতাংশ পরিবারের আয় বন্ধ হয়ে গেছে, ৩২.১২ শতাংশের আয় কমে গেছে৷ যাদের আয় ১৫ হাজার টাকার মধ্যে তাদের ২৩.২ শতাংশের আয় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে৷ ৪৭.২৬ শতাংশের আয় কমে গেছে৷ আর যাদের আয় ৩০ হাজার টাকার বেশি তাদের ৩৯.৪ শতাংশের কমেছে এবং ৬.৪৬ শতাংশের আয় বন্ধ হয়ে গেছে৷ এই জরিপে কিন্তু মধ্যবিত্তের ওপর করোনার অভিঘাত স্পষ্ট৷

    ৩০ ভাগ মধ্যবিত্ত হওয়ার প্রত্যাশা কি পূরণ হবে

    ২০১৫ সালে বিআইডিএস-এর অর্থনীতিবিদ ড. বিনায়ক সেন তার এক গবেষণায় দেশের তিন কোটি ৫০ লাখ মানুষকে মধ্যবিত্ত বলেন৷ যারা দিনে দুই থেকে তিন ডলার আয় (পিপিপি) করেন তাদের তিনি মধ্যবিত্তের মধ্যে ফেলেন৷ আর তখন সংখ্যাটা ছিল মোট জনগোষ্ঠীর ২০ ভাগ৷ তিনি তখন ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৩০ শতাংশ মধ্যবিত্ত হবে বলে আশা করেন৷ তিনি তার গবেষণায় বলেন, বাংলাদেশের মধ্যবিত্তের ৪৮.৪ শতাংশ বেসরকারি চাকরি করেন৷ ২০ শতাংশের বেশি সরকারি চাকরি করেন৷ প্রায় ২২ শতাংশ ব্যবসা করেন৷ নিম্নমধ্যবিত্তের মধ্যে ৫১.৬ শতাংশ বেসরকারি চাকরি করেন৷ আর ব্যবসায় যুক্ত ১৭ শতাংশ৷

    মধ্যবিত্ত ফ্ল্যাটে থাকে কিংবা জমির মালিক৷ টাকা-পয়সা রাখে ব্যাংক হিসাবে৷ ২৩.৪৯ শতাংশ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশুনা করেন৷

    বিআইডিএস-এর অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদের মতে ১৫-২০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্য রেখার খুব কাছে অবস্থান করে৷ সেই সংখ্যাটাও তিন কোটির মতো৷ যেকোনো দুর্যোগ এলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ বিবিএস-এর খানা জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের নীচের দিক থেকে প্রথম ৫০ ভাগ মানুষের হাতে মোট আয়ের ২০ ভাগ৷ শীর্ষ ১০ ভাগের হাতে মোট আয়ের ২৮ ভাগ৷ এর মানে হলো, মাত্র ১০ ভাগ মানুষের হাতে ৫০ ভাগ মানুষের হাতে যে সম্পদ আছে তার চেয়েও ৮ ভাগ বেশি আছে৷ বাকি ৪০ ভাগ মানুষের হাতে ৪২ ভাগ আয় ৷ এরাই হয়তো মধ্যবিত্ত৷ তিনি বলেন,‘‘নিম্নমধ্যবিত্ত যারা আছেন, তারা দরিদ্র হয়ে পড়ছেন৷ সম্পদের অসমবন্টন এই পরিস্থিতিকে আরো প্রকট করছে৷৷” আর মধ্যবিত্তেরও তিনটি শ্রেণি আছে- নিম্ন, মধ্য এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত৷

    তারা ঋণগ্রস্থ হচ্ছেন

    বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের চাকরির আয় এরই মধ্যে ঝুঁকির মুখে পড়েছে৷ একটি অংশের চাকরি আছে, কিন্তু বেতন নেই৷ আবার কারো বেতন কমে গেছে৷ এসএমই সেক্টরে ধস নেমেছে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অর্থনীতির অধ্যাপক ও ‘উন্নয়ন অন্বেষণের’ চেয়ারপার্সন ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন,‘‘ যারা সরকারি চাকরি করেন তাদের আপাতত কোনো সংকট হবে না৷ কিন্তু যারা বেসরকারি খাতে আছেন তারা এখন জমানো টাকা খাওয়া শুরু করেছেন৷ এটা শেষ হলে ঋণ করে অবস্থান বজায় রাখার চেষ্টা করবেন৷ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তারা ঋণগ্রস্থ হয়ে নিম্নবিত্তের কাতারে নেমে যাবেন৷”

    বাংলাদেশে ৯০ লাখ মানুষ আনুষ্ঠানিক খাতে চাকরি করেন৷ এর মধ্যে ১৫ লাখ সরকারি খাতে৷ বাকি ৭৫ লাখ মানুষ বেসরকারি খাতে ৷ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন ছয় কোটি ৮ লাখ মানুষ৷

    বিবিএস-এর খানা জরিপে মোট ১০টি ইনকাম গ্রুপ আছে৷ এর মধ্যে পাঁচ থেকে সাত- এই তিনটি ইনকাম গ্রুপকে মধ্যবিত্ত বলতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ও সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনামিক মডেলিং (সানেম)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান৷ তার মতে, পঞ্চম টায়ারে যারা আছেন, তারা নিম্ন মধ্যবিত্ত৷ এরা সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে আছেন৷ ষষ্ঠ টায়ারও ঝুঁকিপূর্ণ ৷ আয় কমে গেলেই তারা দারিদ্র্য সীমার নীচে চলে যাবেন, এবং তাই হচ্ছে৷

    ড. সেলিম রায়হান বলেন,‘‘বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র্যসীমার ১.৯ ডলারের যে হিসাব তার পরেও একটা হিসাব আছে দুই থেকে তিন ডলারের৷ তারাই এখন বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন৷”

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts

    গুম কমিশন : ইলেকট্রিক শক দিলে পোড়া মাংসের গন্ধ পেতেন

    July 7, 2025
    Press

    অন্তর্বর্তী সরকারের সুচিন্তিত নীতির ফলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমছে : প্রেসসচিব

    July 7, 2025
    প্রধান শিক্ষক

    ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক ১০ম গ্রেডে উন্নীত হওয়ার পথে

    July 7, 2025
    সর্বশেষ খবর
    অপটিক্যাল ইলুউশন

    ছবিটি জুম করে দেখুন, বলতে পারবেন কে দাঁড়িয়ে আছে এবং কে বসে?

    ওয়েব সিরিজ

    রিলিজ হল রোমান্সে ভরপুর নতুন ওয়েব সিরিজ, একা দেখুন

     Bus

    ১১ প্রাণহানির পর পালিয়ে ছিলেন, ঢাকায় ধরা পড়লেন বাসচালক

    মেয়ে

    মেয়েদের কোন অঙ্গটি প্রতি দুই মাস অন্তর পরিবর্তন হয়

    ওয়েব সিরিজ

    সীমাহীন জনপ্রিয়তা অর্জন করলো এই ওয়েব সিরিজ, দর্শকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস!

    ইসলামি নিয়মে শরীরচর্চা

    ইসলামি নিয়মে শরীরচর্চা: শারীরিক শক্তির আড়ালে লুকানো আত্মিক সুস্থতার রহস্য

    গুগল নিউজে আর্টিকেল অপ্টিমাইজ করার উপায়

    গুগল নিউজে আর্টিকেল অপ্টিমাইজ করার উপায়: আপনার ডিজিটাল সাফল্যের চাবিকাঠি

    হংকংয়ের মুখোমুখি

    হংকংয়ের মুখোমুখি হওয়ার আগে ২ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ

    গুম কমিশন : ইলেকট্রিক শক দিলে পোড়া মাংসের গন্ধ পেতেন

    নোরা ফাতেহি

    আমার মতো নিতম্ব ওরা কখনো দেখেনি : নোরা ফাতেহি

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.