করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য রেফারেন্স হিসেবে দেশের কয়েকটি হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। হাসপাতালগুলো হলো- মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।
হাসপাতালগুলো গত সোমবার (৯ মার্চ) থেকে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চিকিৎসা কাজে ব্যবহারের জন্য মজুদ রাখা হয়েছে মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও রোগ প্রতিরোধী পোশাক।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের হটলাইন ০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯৩৭০০০৯১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৪ ও ০১৯২৭৭১১৭৮৫ নম্বরে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও ৩৩৩ নম্বরে কল করে পাওয়া যাবে করোনার তথ্যসেবা।
এছাড়া ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জেলা/উপজেলা পর্যায়ে মাল্টিসেক্টরাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি জেলা সদর ও উপজেলা পর্যায়ে এক বা একাধিক সুবিধাজনক স্থানে যেমন- স্কুল, কলেজ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘দেশে নতুন করে আরও তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭। ইতোমধ্যে ৩ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। আর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
গত বছরের শেষদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। যাতে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। প্রায় প্রতিদিনই ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল উহানে যেমন নতুন রোগী বাড়ছে, তেমনি নতুন দেশ থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীর তথ্য জানানো হচ্ছে। সবশেষ তথ্যানুযায়ী ভাইরাসটি এরইমধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১০৯টি দেশে ছড়িয়েছে। এসব দেশ থেকে নতুন রোগীর তথ্য জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি যোগ হচ্ছে নতুন দেশের নাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।