আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারির কেন্দ্রস্থল এখন দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে বেশ কয়েকদিন আগেই দেশটি বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে এসে গেছে। মৃত্যুর দিক থেকে স্পেনকে ছাড়িয়ে পৌঁছে গেল পঞ্চম স্থানে।
শনিবার (৩০ মে) বিশ্ব ওয়ার্ল্ডোমিটারে তথানুসারে, ব্রাজিলে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৬৮হাজার ৩৩৮ জন, মারা গেছেন ২৭ হাজার ৯৪৪ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক লাখ ৯৩ হাজার ১৮১ জন। স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ ৮৫ হাজার ৬৪৪ জন। মারা গেছেন ২৭ হাজার ১২১ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক লাখ ৯৬ হাজার ৯৫৮ জন।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনায় শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে ১ হাজার ১২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে টানা পঞ্চমদিনের মতো দেশটিতে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হলো। এতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৪৪ জনে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, ব্রাজিল করোনায় মৃত্যুতে বিশ্বের মধ্যে এখন পঞ্চম দেশ। তারা কয়েকদিনের মধ্যে মৃত্যুতে স্পেনকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। স্পেনে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ২৭ হাজার ১২১ জন।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ২৬ হাজার ৯২৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরই এখন ব্রাজিলের অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনায় প্রায় ১৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে মারা গেছেন ১ লাখের বেশি মানুষ।
গত ২১ মে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে, দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে ঢের বেশি হতে পারে। কেননা, ব্যাপক আকারে পরীক্ষার অভাবে অনেকেই হয়তো সরকারি হিসাবের আওতায় আসছে না।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাজিলে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে অন্তত ১৫ গুণ বেশি হতে পারে।
ব্রাজিলের বৃহত্তম শহর সাও পাওলোর মেয়র ব্রুনো কোভাস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা মেনে চলা না হলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতাদর্শগত শিষ্য ব্রাজিলের কট্টর ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের হুমকিকে ‘ছোটখাটো ফ্লু’ আখ্যা দিয়ে আসছেন।
ভাইরাসটির বিস্তার রোধে দেশটির কোনও কোনও প্রাদেশিক সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও এর কারণে বেকারত্ব বাড়ছে বলে সেসব সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে আসছেন তিনি। তার এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে দায়িত্ব গ্রহণের এক মাসেরও কম সময়ের মাথায় পদত্যাগ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেলসন টেইক।
সূত্র: সিএনএন ও ব্লুমবার্গের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।