আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একেই বলে কপাল! করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও সৃষ্টিকর্তা তার দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন এমনটাই মনে করছেন ইজারুল। করোনার আতঙ্কে ভারতের কেরালা থেকে বেকার হয়ে বাড়ি ফিরে লটারি কেটে কোটিপতি হয়ে গেলেন এক দিনমজুর কাঠমিস্ত্রী। হতাশা, ভয় মিশিয়ে তুলে ধরলেন স্মৃতির কথা।
ভারতে যখন প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সন্ধান মেলে তখন থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে ভারত সরকার। মহারাষ্ট্র, কেরালা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে দিনে দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও পশ্চিমবঙ্গে তখনও মেলেনি আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সময়ে কেরালায় কাঠের কাজ করে পরিবারের জন্য অর্থ রোজগারে ব্যস্ত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কাঠমিস্ত্রী ইজারুল।
পশ্চিমবঙ্গের মির্জাপুরের বাড়িতে তখন ইজারুলের আশার পথ চেয়ে বসে তার তিন সন্তান, স্ত্রী ও বৃদ্ধ বাবা-মা। অন্যদিকে কেরালায় তখন একে একে বন্ধ হচ্ছে দোকান-পাট, অঘোষিত বনধের চেহারা নিয়েছে কেরালা। তাই পরিবারের কাছে ফেরার আশায় কোনও কিছু না ভেবে প্যাসেঞ্জার ট্রেনে চেপে বসলেন ইজারুল। টাকার অভাবে পাননি কোনও এসি কোচের টিকিটও।
তবে স্রষ্টা যার সহায় তার আর চিন্তা কিসের? বাড়ি ফিরে কর্মহীন হয়ে ভাগ্যের পরীক্ষা করতে একদিন কেটেই ফেললেন লটারির টিকিট। আর তাতেই কেল্লাফতে। কোটিপতি হয়ে গেলেন কর্মহীন ইজারুল। প্রায় এক সপ্তাহ আগে শনিবার কেরালা থেকে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। গতবছর বন্যা হওয়ায় কেরালা থেকে তড়িঘড়ি ফিরে আসতে হয় ইজারুল-সহ বাকি শ্রমিকদের। সেই সময় সঞ্চয় ছাড়াই একপ্রকার অনাহারে দিন কাটাতে হয়েছে তাদের।
বাড়ি ছেড়ে কেরালার পথে ইজারুল পা বাড়িয়েছিলেন শুধুমাত্র টাকার আশায়। একটু বেশি টাকা রোজগারের আশায় কেরালায় একা থেকেই লড়াই করে দিনযাপন করেছেন এতদিন। কেরালা কাঠের কাজ করে ইজারুলরা প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকা পান অন্যদিকে কেরালা কাঠের কাজে প্রতিদিন পাওয়া যায় হাজার থেকে বারোশো টাকা। তবে ইজারুল বাড়ি ফিরে আশায় মোটেই হতাশ নন তার পরিজনেরা।
টাকার অভাব ভুলে একসঙ্গে কাজ করে দিন গুজরানের কথা ভাবছেন তারা। ইজারুল বাড়ি ফেরায় তার পরিজনেরা খুশি হলেও হতাশায় ডুবে ছিলেন ইজারুল। পরে একটা লটারি তার জীবনের দিশা’রি হয়ে ওঠে। বদলে দেয় তার জীবনের চিন্তা। একসময় তিনি চিন্তা করছিলেন কী তুলে দেবেন সন্তানদের মুখে, কিন্তু আজ সেই মুখেই দেখা দিয়েছে এক গাল হাসি। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।