জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরা সত্ত্বেও ২১মার্চই ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচনের ভোট। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ভোটও পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে চসিকে পথসভা ও জনসভার মতো জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য প্রার্থীদের চিঠি দেবে ইসি।
সোমবার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে (ইটিআই) ঢাকা-১০ আসনের আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা এসব কথা বলেছেন।
রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেয়া একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, বৈঠকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, করোনার প্রকোপের মধ্যেই ভোটগ্রহণের সময় ভোটারদের মাধ্যমে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা-১০ আসনে ইভিএমে ভোট হবে। মেশিনে ভোটারের আঙুলের ছাপ নেয়ার সময় ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি আছে। ফলে ভোটকক্ষে টিস্যু ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, আঙুল দেয়ার আগে তাকে হাত জীবাণুমক্ত করতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন। এতে ভোটগ্রহণে গতি কিছুটা কমবে এবং ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষও দেখা দিতে পারে জানিয়ে তারা বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ থাকবে।
সিইসি বলেছেন, ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। তবে এসব মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে। কমিশন নির্বাচন স্থগিত করতে চাইছে না। ২১ মার্চ ভোটগ্রহণ হবে। দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ মডেল। সিইসি বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীর এজেন্টদের নিরাপত্তা দিতে হবে। কিন্তু এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া আর বের করে দেয়ার মধ্যে একটি ফারাক আছে। অনেকে এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন। কিন্তু দেখা যায় এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রেই যাননি। সিইসি বলেন, এবার সব রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবে ইসি। আইইডিসিআরের সব ধরনের জনসমাগম না করার নির্দেশনার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলে সিইসি বলেন, আমার এখনই বিষয়টি টেক আপ করব। মেসেজটা যেন পৌঁছে দিতে পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নেব। প্রার্থীরা যেন সীমিত আকারে অন্য ডিভাইসে প্রচার করে এবং যেন জনসভা ও পথসভা পরিহার করে সে অনুরোধ করব। ২৯ মার্চ চসিক নির্বাচন এবং বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচন হবে।
বৈঠকে একটি লিখিত বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, অবাঞ্ছিত অঙ্গুলি হেলনে নির্বাচন কমিশন হেলে পড়লে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পবিত্র দায়িত্ব যথাযোগ্যভাবে সম্পন্ন হতে পারে না। তিনি বলেন, ১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও মুক্ত বলে বিবেচিত হয়নি। ব্যালটবাক্স ভরা, বিরোধী প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও রয়েছে।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম, ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহতাব উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।