জুমবাংলা ডেস্ক: গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে করোনা চিকিৎসা দেয়ার নামে মোটা অংকের টাকা দাবি করে প্রতারণার অভিযোগে আটক তান্ত্রিক কবিরাজ আগুর বেপারীকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাতে সাদুল্যাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর (মুন্সিপাড়া) গ্রাম থেকে তাকে এলাকাবাসী আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে। গ্রেপ্তারকৃত তান্ত্রিক কবিরাজ আগুর ওই গ্রামের মৃত. উমর উদ্দিনের ছেলে। দীর্ঘদিন থেকে তিনি কবিরাজী ও তন্ত্র মন্ত্রের চিকিৎসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন।
সাদুল্যাপুর থানার ওসি মাসুদ রানা জানান, উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মাজেদ মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়া (২৫) সম্প্রতি জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হন। এই জন্ডিস রোগের চিকিৎসার জন্য তিনি গত বুধবার সন্ধ্যায় তান্ত্রিক কবিরাজ আগুর বেপারীর বাড়ী যান। আগুর কবিরাজ তাকে দেখার পর জানান জন্ডিস নয় তার করোনা হয়েছে। এই করোনা থেকে ভালো হতে ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। মাসুম মিয়া তাতে রাজী হয়ে করোনা চিকিৎসার জন্য কবিরাজকে অগ্রীম ৩ হাজার টাকা দেন। কবিরাজ তখন তাকে দু’টি ডাল খাবার জন্য দেন এবং বলেন এই ডাল দু’টি খেলে তোমার করোনা ভাইরাস ভালো হয়ে যাবে।
ওসি বলেন, মাসুম মিয়া এক পর্যায়ে বুঝতে পারেন কবিরাজ তার সাথে প্রতারণা করছেন। তখন তিনি কবিরাজের বাড়ী থেকে চলে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু কবিরাজ তাকে বাকী টাকা প্রদান না করা পর্যন্ত বাড়ী ফিরতে বাধা দেন। কবিরাজ তাকে জানান,বাকী টাকা প্রদান না করলে করোনাভাইরাস হওয়ার কথা ফাঁস করে পুলিশে ধরিয়ে দেব। এছাড়া আমার বাধ্যগত জ্বীন-পরী দিয়ে তোমার বিরাট ক্ষতি সাধন করব। । এসময় মাসুম ভয়ে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার এবং কবিরাজকে আটক করে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।