জুমবাংলা ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে সকলকে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে করুণা ভিক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু রমজান মাস, তাই সবাই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কছে বেশি করে দোয়া করেন। যাতে এই পরিস্থিতির থেকে পরত্রান পাই, এই কোভিড-১৯ ভাইরাস থেকে মানব জাতি মুক্তি পেতে পারে।’
শেখ হাসিনা আজ সকালে তাঁর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় দেশের ৫৭টি প্রতিষ্ঠান, সংস্থা এবং ব্যক্তি বিশেষের পক্ষ থেকে প্রদান করা অনুদানের অর্থ গ্রহণকালে প্রদত্ত ভাষণে এই আহ্বান জানান।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সঙ্গে সংযুক্ত হন। পিএমওতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউস তাঁর পক্ষে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন।
এসময় তিনি সকল ধর্মাবলম্বীদের নিজ নিজ নিয়মে সৃষ্টি কর্তার নিকট প্রার্থনা করারও অনুরোধ জানান।
সকলকে মাহে রমজানের মোবারকবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের কষ্টের বিষয়টি উপলদ্ধি করেই সরকার ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর যেহেতু বোরো ধান উঠেছে তাই খাবারের সেই কষ্টটা মানুষের হওয়ার কথা নয়।
তিনি এ সময় পারস্পরিক সহমর্মিতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে যারা বেশি ধান পেয়েছেন তাঁরা কম ধান পাওয়া লোকজনকে যেন সাহায্য করেন, সেই তাগিদ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য। এই কথাটা চিন্তা করেই সবাইকে কাজ করতে হবে।’
মানুষ মাঝে মাঝে এমন ভীত হয়ে যায় যে, অনেক অমানবিক আচরণও করে ফেলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন পরিবারের সদস্য যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তাঁর কি অসুখ হলো না জেনেই তাকে দূরে ঠেলে দেওয়াটা ঠিক নয়।’
তিনি বলেন, ‘নিজেকে সুরক্ষিত রেখে হাতে হ্যান্ড গ্লাভস এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করে পরিবারকে সহযোগিতা করলে, এতে খুব একটা ক্ষতির কারণ হবে বলে আমি মনে করিনা।’
‘কিন্তু সন্তান হয়ে পিতাকে দূর করে দেওয়া বা স্ত্রী হয়ে স্বামীকে দূর করে দেওয়া, বা মাকে দূর করে দেওয়া-এটা কখনোই কল্যাণকর নয়,’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নিজেকে সুরক্ষিত রেখেই আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আন্তরিকতার সঙ্গে এখানে কাজ করতে হবে এবং সকলকে সহযোগিতা করতে হবে । আবার নিজেকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক চলতে হবে। তাহলেই এই রোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন।
তিনি তাঁর ত্রাণ তহবিলে সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন এবং বক্তি বিশেষের প্রতি কৃতজ্ঞতাপ্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ যেন তাঁর জীবন-জীবিকা চালাতে পারে সেজন্যই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের দেশব্যাপী ঘোষিত বন্ধ পরিস্থিতি ক্রমশ শিথিল করা হচ্ছে। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিছু কিছু আস্তে আস্তে উন্মুক্ত করার চেষ্টা করছি। কিছু জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা যাতে মানুষ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করছি। কারণ, এটা রোজার মাস।’
তিনি আত্মবিশ্বাস এবং সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার তাগিদ দিয়ে বলেন, ‘অসুখ-বিসুখ হলে মনে সাহস রাখতে হবে। কেবল ডাক্তার এবং ওষুধেই রোগ ভাল হবে না। মনের জোর থেকে, আত্মবিশ্বাস থেকেও কিন্তু অনেকটা সুস্থ হওয়া যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে সব নির্দেশনা দিয়েছে- পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা,এক জায়গায় জটলা না করা- যাতে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে, সকলকেই সেটা মেনে চলতে হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।