আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের কারণে মালদ্বীপে কর্মহীন হয়ে মানবেতন জীবন-যাপন করছেন ১ লাখের বেশি বাংলাদেশি। বেতন না পাওয়ায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। দেশটির সরকারও কোনো সহায়তা করছে না। এ অবস্থায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন সময় সংবাদকে জানান, সংকট সমাধানে দেশটিতে আরও খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে, এছাড়া দেশে ফিরিয়ে আনা হবে শ্রমিকদের।
করোনার প্রভাবে মালদ্বীপে পর্যটন ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ। তিন থেকে চার মাস ধরে তাই বেতন পাচ্ছেন না, দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশিরা। অর্থের অভাবে খাবার কিনতে না পারায়, অনেকে না খেয়েই দিন পার করছেন।
বাংলাদেশি একজন শ্রমিক বলেন, আমাদের এখানে শ্রমিকরা অনেক কষ্টে আছে। একবেলা খাচ্ছে একবেলা না খেয়ে থাকছে। এমনও লোক আছে মুড়ি খেয়ে বেঁচে আছে।
আরেক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত আবেদন তিনি যেন আমাদের দ্রুত দেশে ফেরার ব্যবস্থা করেন এছাড়া পরবর্তীতে আবার যেন সহজে আসতে পারি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেব বলছে, দেশটিতে ৪০ হাজারের বেশি শ্রমিকের বৈধ কাগজপত্র না থাকায়, তারাই সবচেয়ে বিপদে। মহামারি কাটলেও কাজ হারানোর শঙ্কা রয়েছে।
অনেকে বৈধ হওয়ার আবেদন করেছেন, যা এখনও ঝুলন্ত। এ অবস্থায় যারা দেশে ফিরতে চান তাদের ধাপে ধাপে আনার কথা জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, আমার একজন জনগণও যেন না খেয়ে থাকে এজন্য আমরা টাকা পাঠিয়েছি। কিন্তু আমরা সবাইকে একবারে আনতে পারবো না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।