আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল বাড়ছেই। এদিন সরকারি হিসাবে মারা গেছেন আরও ৩৭ জন। যদিও চীনের স্বাস্থ্য সংস্থার দায়িত্বশীলরা বলছেন এ সংখ্যা ৪৬। তবে আজ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৫০ জন। একই সঙ্গে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বলছে ১১ হাজার ৭৯১ জন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়া হুবেই প্রদেশের উহান সিটিতে সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসায়। তাছাড়া এক লাখের বেশি মানুষ মরণঘাতী এ ভাইরাসের লক্ষণাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছে।
স্পেন, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। নতুন করে তিয়ানজিন শহরে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া একে অন্যের সঙ্গও এড়িয়ে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভাইরাস ছড়ানো থেকে রক্ষা পেতে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ‘হু’র মহাপরিচালক অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
সংস্থাটির প্রধান বলেন, এ ঘোষণার মাধ্যমে দুর্বল স্বাস্থ্যসেবার দেশগুলোকে সুরক্ষা দেওয়া এবং তাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হবে। তবে চীনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া শুরু করলেও এক সপ্তাহ আগেও গ্লোবাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল হু।
হু’র কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন করে চীনে হাজার হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে একে একে করে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা এ বিষয়ে স্পষ্ট উদাহরণ দেখেছি। ফলে সবকিছু পর্যালোচনা করে সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ কমিটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলো।
হু ডিজি বলেন, চীনে যা ঘটছে এই কারণে নয়, বরং অন্য দেশে যা ঘটছে সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উদ্বেগের বিষয় হলো দুর্বল স্বাস্থ্যব্যবস্থার দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি।
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অন্য দেশগুলোতেও দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে চীনের সবগুলো প্রদেশ ছাড়াও অন্তত ২০টি দেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ রোগ মানুষের মাধ্যমেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে চীন থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। সেখানে আটকে পড়া ৩৬১ জন শিক্ষার্থীকে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ফিরিয়ে আনছে বাংলাদেশ। তাদের রাখা হবে আশকোনা হজক্যাম্পে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।