Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home করোনা মধ্যবিত্তকে নামাচ্ছে নিম্নবিত্তের কাতারে
    Coronavirus (করোনাভাইরাস) অর্থনীতি-ব্যবসা জাতীয় স্লাইডার

    করোনা মধ্যবিত্তকে নামাচ্ছে নিম্নবিত্তের কাতারে

    April 25, 20205 Mins Read

    সমীর কুমার দে, ডয়চে ভেলে: ঘরে খাবার নেই, চক্ষুলজ্জায় হাতও পাততে পারছেন না৷ অন্যদিকে ভাড়া পরিশোধের জন্য বাড়ি মালিকের চাপ, জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্তদের৷

    Advertisement

    বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরতদের অনেকে বেতন পাচ্ছেন না৷ সঞ্চিত অর্থ শেষের পথে, আছেন চাকুরি হারানোর শঙ্কায়৷ সরকারের কোন প্রণোদনার মধ্যেও নেই তারা৷ ফলে চলমান লকডাউনের মধ্যে মহাসংকটে পড়েছেন বাংলাদেশে ‘গৃহবন্দি’ কয়েক কোটি মধ্যবিত্ত৷ অর্থনীতিবিদরা মনে করেন এইসব পরিবারের অনেকেই এখন নিম্নবিত্তের স্তরে নেমে আসছেন৷

    সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের চার কোটি পরিবার আছে৷ এর মধ্যে নিম্নবিত্ত ২০ ভাগ আর উচ্চবিত্ত ২০ ভাগ৷ মাঝের যে ৬০ ভাগ এরা নিম্ন, মধ্য ও উচ্চ মধ্যবিত্ত৷ এই সংখ্যা আড়াই কোটি পরিবার হবে৷ এর মধ্যে সরকারি চাকুরিজীবী, মাল্টিন্যাশনাল ও বড় কোম্পানিতে কাজ করা কিছু মানুষ বাদে অন্যরা সবাই সংকটে আছেন৷ এদের মধ্যে বড় একটা অংশ চাকুরি ঝুঁকিতে আছেন৷ অনেকেরই বেতন হয়নি, অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে৷ ফলে তারা বেতন তো পাননি, উল্টো চাকুরি ঝুঁকিতে আছেন৷ এই মানুষগুলো সরকারি কোন কর্মসূচির মধ্যেও নেই৷ তবে সরকার এসএমই ঋণ দিয়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে৷ তবে এই সংখ্যাও খুব বেশি না৷ বিপুল জনগোষ্ঠী এখনও সহায়তার বাইরে৷’’

    আবু জাফর মিরপুরের কাজীপাড়ায় স্যানিটারি সামগ্রী বিক্রি করেন৷ তার দোকানে দুইজন কর্মচারি৷ ২৫ মার্চ দোকান বন্ধের আগে হাতে যে টাকা ছিল তা দিয়ে কর্মচারিদের মার্চ মাসের বেতন দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ সামান্য টাকা রেখেছিল নিজের পরিবারের খরচ মেটাতে৷ যা এরিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে৷ রোজগারের জন্য দোকান খুলতে পারছেন না৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে জাফর বলেন, ‘‘আমি কোনভাবেই কর্মচারিদের এপ্রিল মাসের বেতন দিতে পারব না৷ নিজেই খাওয়ার জন্য এক আত্মীয়ের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেছি৷ এখনও বাড়ি ভাড়া দিতে পারিনি৷ মালিক চাপ দিচ্ছে৷ চার সদস্যের পরিবার নিয়ে খুবই সংকটে আছি৷ এই অবস্থা আর ১৫ দিন থাকলে আমাকে পথেই নামতে হবে৷’’

    আফরোজা আক্তার দর্জির কাজ করেন৷ তার স্বামী একটি দোকানের কর্মচারি৷ তিন মেয়ে নিয়ে কোনোমতে সংসার চলে তাদের৷ করোনায় স্বামী-স্ত্রীর কোনো কাজ না থাকায় তীব্র খাবার সংকটে পড়েছেন এই দম্পতি৷ ডয়চে ভেলেকে আফরোজা বলেন, নিরুপায় হয়ে তিনি স্থানীয় থানার ওসিকে ফোন দিয়েছিলেন৷ ওসি অপারগতা প্রকাশ করেন৷ পরে ওই এলাকার কাউন্সিলর কিছু সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দিলেও চারদিনেও কিছু পাননি৷ পরে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাদের কিছু সাহায্য দিয়েছে৷

    তবে মধ্যবিত্তদের অনেকেই চক্ষুলজ্জায় মানুষের কাছে সাহায্য চাইতে পারছেন না৷ নিজেদের পরিস্থিতি বাইরের কাউকে তারা জানাতেও পারছেন না৷

    সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে মধ্যবিত্ত

    এমন পরিস্থিতিতে কিভাবে চলছেন দেশের কয়েক কোটি মধ্যবিত্ত? পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘‘মধ্যবিত্তের কিছু সঞ্চয় থাকে৷ গেল এক মাসের লকডাউনে তারা সেই সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে৷ এভাবে আরেকমাস চললে তাদের সেই সঞ্চয়ও শেষ হয়ে যাবে৷ তখন কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে? বিপুল সংখ্যক মধ্যবিত্ত এই পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্তে পরিণত হবেন৷ সবচেয়ে বড় সংকট হবে যখন সবকিছু স্বাভাবিক হবে তখন তো বিপুল সংখ্যক মানুষ চাকুরি হারাবেন৷ উন্নত দেশে তো বেকার ভাতা দেওয়া হয়৷ এখানে সেই ব্যবস্থা নেই৷ তাহলে এই মধ্যবিত্ত বেকার শ্রেণী কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? সরকারের যে প্রনোদনা সেখানেও কিছু মধ্যবিত্তের কোন অবস্থান নেই৷ আবার আমাদের যে ব্যবস্থা সেখানে সরকার চাইলেও মধ্যবিত্তকে কিছু করতে পারে না৷ আসলেই বাংলাদেশে মধ্যবিত্তরা ভয়াবহ সংকটে আছেন৷’’

    মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘এই কারণেই আমরা নগদ প্রনদোনার কথা বলেছিলাম৷ আমাদের দেশে ছয় কোটি ১০ লাখ শ্রমিক আছেন৷ এর মধ্যে এক কোটি শ্রমিক দিন এনে দিন খায়৷ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কর্মসংস্থান যারা করেন তাদের সংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখ৷ আমরা সরকারকে বলেছি, একটি পরিবারে চারজন আছেন এমন একটি পরিবারকে মাসে আট হাজার টাকা হিসেবে দুই মাসের ১৬ হাজার টাকা দিতে৷ তাতে সরকারের ২৭ হাজার কোটি টাকা লাগবে, যা জিডিপির এক শতাংশ৷ এভাবেই এই ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের সহায়তা করা যেতে পারে৷’’

    চাকুরি হারানোর শঙ্কায় অনেকে

    মোহাম্মদপুরে থাকেন আমিনুল ইসলাম ও ফাতেমা আক্তার দম্পত্তি৷ একটি ‘ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ কোম্পানিতে চাকুরি করেন আমিনুল৷ তার স্ত্রী ফাতেমা একটি বেসরকারি স্কুলে চাকুরি এবং টিউশন করে সংসার চালান৷ কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনি বেতন পাচ্ছেন না৷ আমিনুল অর্ধেক বেতন পেয়েছেন৷ কোনোমতে চলছে সংসার, কিন্তু এখনো বাসাভাড়া মেটাতে পারেননি৷

    আমিনুল জানান, সামনের মাসে বেতন দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে তার চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান৷ এমনকি চাকুরি থাকবে কি না তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা৷ চলতি এপ্রিল মাসে বেতন না পেলে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই পরিবারটির৷ তাদের মতো অনেকেই আছেন চাকরি হারানোর এমন আতঙ্কে৷

    মধ্যবিত্তদের পাশে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন

    মধ্যবিত্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে অনেক বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন৷ বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অ্যাসিট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার জসিম উদ্দিন খান ও প্রেস ইনস্টিটিউটের সহকারি প্রশিক্ষক বারেক কায়সারসহ আরো কয়েকজন মিলে গড়ে তুলেছেন ‘সঙ্গে আছি’ নামে একটি সংগঠন৷ এই সংগঠনের উদ্যোগে শনিবার পর্যন্ত পাঁচ হাজার পরিবারের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে৷ এর মধ্যে দুই হাজার মধ্যবিত্ত পরিবার৷ তারা মূলত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষকে চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিচ্ছেন৷ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বারেক কায়সার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সবচেয়ে কষ্টে আছে মধ্যবিত্ত৷ তারা হাত পাততে পারে না, আবার ঘরে খাবার নেই৷ ফলে তাদের কাছে যারা ফোন করছেন তাদের বাসায় গিয়ে এগুলো পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে৷ তাদের সংগঠনকে যারা সহায়তা দিচ্ছেন বা যারা তাদের কাছ থেকে সহায়তা নিচ্ছেন তাদের কারো নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না৷’’

    এমন আরেকটি সংগঠন ‘সহমর্মিতা ফাউন্ডেশ’৷ যাদেরকে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, তাদের ছবি তো দূরের কথা, পরিচয়ও প্রকাশ করছে না ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ৷ সহমর্মিতা ফাউন্ডেশনের পরিচালক পারভেজ হাসান বলেন, ‘‘একজন মধ্যবিত্ত কোন অবস্থাতেও তার খারাপ অবস্থার কথা কাউকে জানতে দিতে রাজি হয় না৷ কারণ তাদের ক্ষুধার ভয়ের থেকে চক্ষুলজ্জার ভয় বেশি থাকে৷ তাদের হেল্পলাইনে কেউ ফোন করলে তাদের গোপনে গিয়ে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে৷’’

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    Gold Price

    বিশ্ববাজারে ফের বাড়ছে স্বর্ণের দাম, নেপথ্যে কী?

    June 26, 2025
    Gov Job

    সরকারী চাকরিজীবীদের জন্য ছুটি নিয়ে বিশাল সুখবর

    June 26, 2025
    বদলি

    ঢাকা মহানগর পুলিশের ৬ ডিসিকে বদলি

    June 26, 2025
    সর্বশেষ খবর
    রাজা

    কোন ভারতীয় রাজা তার মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন

    স্পার্মের কোয়ালিটি

    স্পার্মের কোয়ালিটি ঠিক রাখতে এড়িয়ে চলুন ৫টি খাবার

    Gold Price

    বিশ্ববাজারে ফের বাড়ছে স্বর্ণের দাম, নেপথ্যে কী?

    ওয়েব সিরিজ

    ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নতুন চমক! সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে এলো নতুন ওয়েব সিরিজ!

    Realme-Realme-10-Pro-5G-Coca-Cola-Edition

    ৫টি অদ্ভুত টেক ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ যা সত্যিই চমকে দেবে!

    Sadia Jahan Prova

    শত্রুপক্ষের দুঃখের দিনেও আনন্দ হচ্ছে না : প্রভা

    Passport

    দেশে কোন রঙের পাসপোর্ট কাদের জন্য

    বিমান

    ভারতের এই জায়গায় বিমান চলাচল নিষিদ্ধ, কারণ জানলে অবাক হবেন

    Gov Job

    সরকারী চাকরিজীবীদের জন্য ছুটি নিয়ে বিশাল সুখবর

    ai

    বহু আগে মারা গিয়েছিলেন মা, এআই প্রযুক্তির সাহায্যে মাকে জড়িয়ে ধরলেন রেডিট সহ-প্রতিষ্ঠাতা

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.