জুমবাংলা ডেস্ক: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সোমবার বলেছেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন শহরে অবস্থিত বিভিন্ন বস্তিতে করোনাভাইরাস জনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সরকারের পাশাপাশি এনজিও এবং সুশীল সমাজের সম্পৃক্ততা জরুরি। খবর ইউএনবি’র।
ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে এনজিওগুলোকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে রাজধানীর কাওরানবাজারে ঢাকা ওয়াসা ভবনে এক সমন্বয় সভায় তিনি একথা বলেন।
এ সমন্বয় সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় এনজিও ব্রাক, ওয়াটার এইড, ডিএসকে, সাজেদা ফাউন্ডেশন, শক্তি ফাউন্ডেশন এবং ওয়াশ প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত এনজিও সমূহ ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন শহরে অনেক প্রতিষ্ঠান করোনা সংকট মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু প্রতিষ্ঠানিক কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। এখানে বসবাসরত নিম্ন আয়ের মানুষের কঠিন সমস্যা মোকাবিলার জন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, এ জাতীয় সংকট মোকাবিলা করার জন্য জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আপদকালীন একটি রূপরেখা এবং সেটআপ আছে। এখন ঢাকার মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য একটি অ্যাকশন প্ল্যান করা জরুরি।
ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের তত্ত্বাবধানে দশটি করে সাব-কমিটি গঠন, প্রতিটি কমিটিতে অন্তত একজন এনজিও প্রতিনিধি রাখ এবং কমিটিগুলোর কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কিনা তা প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রীকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় দরিদ্র ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীকে চাল, ডা সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী যেমন প্রদান করা হবে তেমনি প্রয়োজনে নগদ অর্থও প্রদান করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।