নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) কর্মরত শিক্ষকদের এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ সহযোগিতা করবে শিক্ষকরা। এই অর্থের কিছু অংশ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এবং কিছু অংশ শিক্ষক সমিতির তত্ত্বাবধানে প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নোয়াখালীতে খেটে খাওয়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের জন্য ব্যয় করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
আজ শুক্রবার দুপুরে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মজনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ব আজ করেনাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত মহামারীতে আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রবল ছোঁয়াচে এই সংক্রামক ব্যাধির উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ, যা অনেকদিন বিরাজ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনার বিস্তাররোধে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে এবং জনসাধারণকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। এর ফলে দৈনিক খেটে খাওয়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যারা দিন আনে দিন খায় তাদের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। সরকার হতদরিদ্র এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য প্রদানের পাশাপাশি নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
জাতীয় এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সম্মিলিত সহায়তার অংশ হিসেবে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি কার্যকরী পরিষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকের এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থের কিছু অংশ প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে এবং কিছু অংশ শিক্ষক সমিতির তত্ত্বাবধানে প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নোয়াখালীতে খেটে খাওয়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের জন্য ব্যয় করা হবে। এ অর্থ আগামী এপ্রিল মাসের প্রদেয় বেতন থেকে কর্তণ করা হবে।
এ ব্যাপারে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, নোবিপ্রবি শিক্ষকদের এক দিনের বেতন সামান্য হলেও দেশের এই দুর্যোগ মুহূর্তে কিছুটা হলেও মানবিক কাজে অবদান রাখবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। সেই সাথে সবার নিকট অনুরোধ, মহামারি এই ভাইরাস মোকাবেলায় আপনারা স্ব স্ব অবস্থানে থেকে দেশের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।