জুমবাংলা ডেস্ক : করোনা শনাক্ত আসামিকে ধরে খুলনার ফুলতলা থানার দুই ওসিসহ ২৩ পুলিশ সদস্য বিপাকে পড়েছেন।জানা গেছে, খুলনা ল্যাবে ওই আসামির করোনা শনাক্ত হওয়ায় পর তাকে গ্রেপ্তার ও আদালতে নেওয়ার সময় সংস্পর্শে থাকা ২৩ পুলিশকে হোম কোয়ারন্টোইনে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে গ্রেপ্তার ওই আসামিকে করোনা চিকিৎসায় খুলনা ডেটিকেটেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, ঢাকার মোহাম্মদপুরে বিশেষ নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যাটালিয়ন (এসপিবিএন-২) এ কর্মরত এএসআই মাহমুদুর রহমান ওরফে মাহমুদ গত ১৯ মে খুলনায় পর্নোগ্রাফি, ডিজিটাল নিরাপত্তা ও হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হয়। খুলনার ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার হওয়া ওই পুলিশ সদস্য তার তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর গোপন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ১৯ মে খুলনায় এসে মামলার বাদী তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে মারধর করলে খবর পেয়ে মাহমুদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ বলেন, ঢাকা থেকে আসার কারণে রুটিন মাফিক করোনা পরীক্ষার জন্য এএসআই মাহমুদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২২ মে সন্ধ্যায় খুলনা ল্যাবে পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি বার্তা কারাগার কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। একই সাথে গ্রেপ্তার ও আদালতে নেওয়ার সময় তার সংস্পর্শে থাকা ২৩ পুলিশ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারাগারে ওই ব্যক্তি যাদের সংস্পর্শে ছিল তাদেরকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখতে বলা হয়েছে।
এদিকে খুলনা কারাগারের সহকারী প্রধান কারারক্ষী আইয়ুব আলী বলেন, ১৯ মে ফুলতলা থানার মামলার আসামি মাহমুদকে কারাগারে আনা হয়েছিল। পরে ২২ মে তাকে কারাগার থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে নেওয়া হয়েছে। ২৩ মে সকালে তাকে করোনা চিকিৎসায় খুলনা ডেটিকেটেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।