আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ আবার বাড়ছে৷ তাই জার্মানিতে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্যাক্সনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ আগামী বৃহস্পতিবার ম্যার্কেল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসছেন৷ খবর ডয়চে ভেলে’র।
জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের চতুর্খ ঢেউয়ের ‘জয়যাত্রা’ কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না৷ স্যাক্সনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মিশায়েল ক্রেচমার দেশে বড় মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন৷ তিনি নতুন করে লকডাউনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না৷ কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বে শূন্যতার মাঝে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক সংকট মোকাবিলায় মোটেই সহায়ক হচ্ছে না৷ এ অবস্থায় শুধু সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে আবেদন-নিবেদন করেই সুফলের আশা করতে হচ্ছে৷ রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট জার্মানিতে আরো কড়া বিধিনিয়মের ডাক দিয়ে সব মানুষের উদ্দেশ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার ডাক দিয়েছে৷ যোগাযোগ এড়ানো একান্ত সম্ভব না হলে এমনকি টিকাপ্রাপ্তদেরও করোনা টেস্ট করানোর পরামর্শ দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান৷
বৃহস্পতিবার বিদায়ী ও সম্ভাব্য নতুন সরকারের শরিক দলগুলি সংসদে বর্তমান সংকট নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চালিয়ে যাচ্ছে৷ সম্ভাব্য চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস টিকাদানের গতি আরো দ্রুত বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ প্রবল চাপের মুখে আগামী বৃহস্পতিবার বিদায়ী চ্যান্সেলর ম্যার্কেল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
ফেডারেল ও রাজ্য স্তরের মধ্যে আরও সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশজুড়ে দ্রুত আরো জোরালো ও স্পষ্ট পদক্ষেপ নেবার ডাক দিচ্ছে একাধিক বিশেষজ্ঞ মহল৷ করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে বড়দিনের আগেই কমপক্ষে দুই কোটি মানুষকে টিকার বুস্টার ডোজ দেবার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন জার্মানির পৌর সংগঠনের প্রধান৷
গত পাঁচ দিন ধরে জার্মানিতে সংক্রমণের হার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে চলেছে৷ প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সাপ্তাহিক গড় সংক্রমণের হার শুক্রবার ২৬৩ পেরিয়ে গেছে৷ একের পর এক হাসপাতালের ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে করোনায় আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ মানুষের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে৷ চিকিৎসকরা পরিস্থিতির আরও অবনতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছেন৷
এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও জার্মানিতে মহামারিকালীন জরুরি অবস্থার মেয়াদ আর বাড়ানো হচ্ছে না৷ তার বদলে সম্ভাব্য সরকারের তিন শরিক দল আইন পরিবর্তনের নতুন খসড়া সংসদে পেশ করেছে৷ তবে অনেক রাজনীতিক ও বিশেষজ্ঞ বর্তমান অবস্থায় জরুরি অবস্থার অবসানের কড়া সমালোচনা করছেন৷ এসপিডি, এফডিপি ও সবুজ দল অবশ্য নিজস্ব পরিকল্পনায় অটল রয়েছে৷ তাদের মতে, আদালতে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আপিল করা হলে সরকারের পরাজয়ের আশঙ্কা রয়েছে৷ তার বদলে রাজ্যগুলির হাতে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা তুলে দিলে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হবে৷ তবে সবার জন্য লকডাউনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে সম্ভাব্য সরকার বিড়ম্বনা পড়তে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।