আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাধারণত কোনো ব্যক্তির নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হলে তাকে বা তার সংস্পর্শে আসা মানুষদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টােইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু পশুদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ঘটনা মনে হয় এটাই প্রথম।
সম্প্রতি ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের তুমাকুরু জেলার গোডেকেরে গ্রামে এক ছাগল পালকের করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে। এরপর তার পালিত ৪৭টি ছাগলকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। শুধু তাই নয়, ছাগলগুলো কোভিড-১৯ আক্রন্ত কি না- তা জানতে সেগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ওই গ্রামে ৩০০টি বাড়ি রয়েছে। যেখানে প্রায় এক হাজার মানুষ বসবাস করেন। বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে ওই গ্রামেও। সম্প্রতি এক ছাগল পালকসহ গ্রামটির দুইজন বাসিন্দার শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত করা হয়েছে। এরপর ওই ছাগল পালকের ৪টি ছাগল মারা গেলে গোটা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
এ ঘটনার পর জেলা পশু স্বাস্থ্য বিভাগে খবর দেন গ্রামবাসীরা। গত মঙ্গলবার পশু স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা গ্রামে এসে ছাগলগুলোর নমুনা সংগ্রহ করেন এবং সেগুলো পরীক্ষার জন্য ব্যাঙ্গালুরুর ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল হেলথ অ্যান্ড ভেটেরিনারি বায়োলজিকসক ল্যাবে পাঠান। পাশাপাশি পরীক্ষার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত ছাগলগুলোকে গ্রামের বাইরে এক জায়গায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে পশু স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব পি মানি ভান্নাম বলেন, ছাগলগুলো করোনাভাইরাস আক্রান্ত কি না জানতে সেগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই বিষয়টি জানা যাবে। আর মৃত ছাগলগুলোরও ময়নাতদন্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হতে পারলেও মানুষ থেকে পশুর শরীরে সংক্রমিত হওয়ার কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।