আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতী নভেলা করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে চীনের বিভিন্ন প্রদেশে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও আক্রান্ত আছেন অনেকে। এ পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে আবারও চালু হয়েছে দেশটির অনেক অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। খবর সিএনএনের
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চীনা নববর্ষের কারণে এক সপ্তাহের বেশি বন্ধ ছিল চীনের বিভিন্ন অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দেশটির বেশিরভাগ সংস্থা সরকারি ছুটি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যাবে সেটার দিক-নির্দেশনা দিতে শুরু করেছে।
আতঙ্ক কাটিয়ে অনেকে কাজে ফিরতে শুরু করেছেন। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে অফিসে আসা কর্মীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অন্যান্য নির্দেশাবলীও দেওয়া হচ্ছে। যেমন- শেনজেন শহরে ওই স্থানের বাইরে থেকে আসা অভিবাসী কর্মীদের বিশেষ করে সংক্রমিত অঞ্চল থেকে ফিরে আসা কর্মীদের জন্য পৃথক স্থানে কাজের জায়গা তৈরি করা হয়েছে।।
সিএনএন বলছে, গুরুতর সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও চীনের কিছু বড় বড় সংস্থা কাজে ফেরার চেষ্টা করছে। কারও আবার কাজ পুরোপুরি বন্ধ আছে।
৪০ হাজার কর্মী নিয়ে কাজ করা দেশটির শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা হুয়াওয়ে সোমবার শেনজেনে তাদের সদর দফতর আবারও চালু করেছে।
স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা কর্মীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এখানকার কর্মীরা জানান, জানুয়ারি মাসে তারা যখন এ অফিস ছেড়ে ছুটিতে যান তখনকার চেয়ে এখনকার পরিবেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন।
তারা আরও জানান, সকালে কাজে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে তাদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া এখানে ঢোকার আগে সবাইকে মাস্ক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথাও জানিয়েছে।
এদিকে অনেক সংস্থা আবার কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। শেনজেনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট জানিয়েছে, চীনের মূল অংশে তাদের যেসব কর্মী আছেন তারা সোমবার থেকে বাড়িতে বসেই কাজ করছেন । কমপক্ষে দু’সপ্তাহ এভাবেই তাদের কাজ চলবে।
এ ছাড়া হংকংয়ে অবস্থিত টেনসেন্টের অফিস আগামী সপ্তাহে খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সংস্থা একজন মূখপাত্র জানিয়েছেন, কর্মীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়টি তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি বুঝে তাদের সিদ্ধান্ত আবারও পরিবর্তন করা হবে।
টেনসেন্টের মতো চাইনিজ রাইড হেলিং সরবরাহকারী ‘দিদি এবং অডি’ টিম শুক্রবার থেকে দূরের কর্মীদের জন্য বাড়িতে বসে কাজের চর্চা শুরু করেছে। ই-কমার্স জায়ান্ট ‘আলিবাবা’ও তাদের কর্মীদের আরেক সপ্তাহ বাড়িতে বসে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে।
ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘জিজেআই’ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কর্মীদের বাড়িতে বসেই কাজ করার আদেশ দিয়েছে।
তবে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যেমন- টয়োটো, জিএম তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ রেখেছে।
প্রাণঘাতী নভেলা করোনাভাইরাসে চীনে সোমবার পর্যন্ত মারা গেছেন ১০১১ জন। এ ছাড়া এতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ২০০ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।