আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কলকাতায় দুই বাংলাদেশি পর্যটককে গাড়িতে পিষে দেওয়ার ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। ১৭ আগষ্ট রাত আনুমানিক ১টা ৫০ মিনিটে যে ঘাতক জাগুয়ার গাড়িটি এই দুর্ঘটনা ঘটায় সেই গাড়ি আরসালান পারভেজ চালাচ্ছিলেন না। গাড়ি চালাচ্ছিলেন তারই ছোট ভাই রাগিব পারভেজ। ওই দুর্ঘটনা ঘটিয়ে সকালের ফ্লাইটে রাগিব দুবাই পালিয়ে গিয়েছিলেন।
বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রাগিবকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মরলি ধর শর্মা বুধবার সন্ধ্যায় লালবাজারে সংবাদ সম্মেলনে এ বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, জাগুয়ার গাড়ির ডাটা অ্যানালাইসিস করে এই তথ্য নিশ্চিত হন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এবং এরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশ দুবাই থেকে যাতে রাগিব স্বেচ্ছায় ফিরে আসে এর জন্য আরসালানের পরিবারের সদস্যদের নানা কৌশলে চাপ প্রয়োগ করে। পরিবারের সহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত রাগিব দেশে ফিরে আসে এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এর আগে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ আরসালান রেস্তোরার কর্ণধারের বড় ছেলে আরসালান পারভেজকে গ্রেফতার করে। তাকে ২৯ আগষ্ট পর্যন্ত পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়। ঐ তরুণ গত ৯ মাসে ৪৮ বার ট্রাফিক আইন ভাঙায় মামলা খেয়েছে।
গত ১৭ আগস্ট রাতের খাবার শেষে, রাত পৌনে দুটো নাগাদ হোটেলে ফেরার পথে তুমুল বৃষ্টিপাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণির একটি ট্রাফিক গার্ড-এর শেডের তলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন মাইনুল আলম এবং ফারাহানা ইসলাম তানিয়া নামে দুজন বাংলাদেশি পর্যটক।
সে সময় একটি জাগুয়ার গাড়ি পাশ দিয়ে যাওয়া আরো একটি মার্সিডিজ গাড়িকে ধাক্কা দিলে মার্সিডিজ গাড়িটি সজোরে গিয়ে আঘাত করে ট্রাফিক গার্ড পয়েন্টে। এতটাই গতিতে ধাক্কা লাগে যে কার্যত মুহূর্তেই তাসের ঘরের মতো ট্রাফিক গার্ড শেডটি ভেঙে চাপা পড়েন দুজন। ঘটনাস্থল থেকে তাদের কলকাতার পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।