সুমন্ত আসলাম: কলাগাছের সুতায় ১৩ হাত শাড়ি বুনেছেন মণিপুরি শাড়ি কারিগর রাধাবতী দেবী। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি এই শাড়ির নাম দিয়েছেন, কলাবতী শাড়ি। দু’তিনদিন ধরে ভাবছিলাম এতো কিছু নিয়ে লিখি, এবার কলাগাছ নিয়ে লিখবো। নিরীহ প্রজাতির এই গাছটি দেখতে বেশ চমৎকার, পাতাগুলো সবুজ এবং টাকাওয়ালা মানুষদের গাড়ির মতো বেশ লম্বা লম্বা। কলাগাছের কলা খাওয়া যায়, সাগর কলা, সবরি কলা, চাম্পা কলা, বাংলা কলা, মুইচা কলা, আরও কতো কলা। লাল রঙের মোচাও খাওয়া যায়, এর ভেতরের সাদা অংশ, স্থানীয় ভাষায় যাকে ‘কান্দাল’ বলে, সেটাও খাওয়া যায় কুচো চিংড়ি দিয়ে।
কলা গাছ দিয়ে বন্যার সময়ের প্রয়োজনীয় বাহন ‘ভেলা’ বানানো যায়, কলা গাছ দিয়ে বাঁধ দেন অনেকে, বিয়ের গেট সাজাতে দেখি অনেককে, পশুপ্রাণী বিশেষ করে হাতীর খুব প্রিয় খাদ্য এই কলাগাছ। এতো প্রয়োজনীয় একটা গাছ। জানলাম, কলা গাছের সুতা দিয়ে শাড়িও বানানো যায়, যে শাড়ি দেখতে অনেকটা মণিপুরি শাড়ির মতো। কলাগাছ আমাদের কিছু জিনিসও শেখায়, প্রয়োজন শেষ হলেই তার আর কোনো মূল্য থাকে না, কলার কান্দি কাটার পর যেমন পুরো কলা গাছ কেটে ফেলা হয়, ভোট শেষ হলে তেমন আম পাবলিককে ছুড়ে ফেলা হয়।
কলা গাছ এখানে ভাগ্যবান, কেটে ফেলার পর সে মরে যায়, পচে যায়। আম পাবলিকরাও ছিটকে পড়ার পর প্রকারান্তে মরে যায়, পঁচে যায়। কিন্তু কলা গাছের সুবিধা হলো, তার বিরুদ্ধে কোনো আইন-টাইন হয় না। মানুষের বিরুদ্ধে হয়, কঠিন সেই আইনগুলো বানায় আবার অন্য আরেক মানুষ। ফেসবুক থেকে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।