কলার খোসার যত গুণ, জানলে চমকে যাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক : কলা অত্যন্ত সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর, ভিটামিনে পূর্ণ একটি ফল। এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল যা সারা বিশ্বেই খাওয়া হয়। এই মিষ্টি ফলটি খাওয়ার পর আমরা সাধারণত এর খোসা ফেলে দিয়ে থাকি। তবে এখন থেকে এটি সংরক্ষণ করে রাখুন। আপনি জানলে অবাক হবেন সম্প্রতি এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে নিয়মিত এর খোসা ব্যবহারে চমৎকার ফলাফল।

হলুদ বর্ণের এই ফলটিতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন, পটাশিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টিপগুণ। ফলে এই ফল কিডনি সুস্থ রাখে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায় ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। কিন্তু কলার খোসাতে কী রয়েছে জানেন কি? আসুন তার বিস্তারিত জেনে নেই আজকের আয়োজনে-

একটি কলা আপনার ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি আরও অনেক কিছুর জন্য ভালো। কিন্তু কলার খোসা! আপনি ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক টুকরো কলার খোসা আঁচিলের উপরে রাখুন এবং এটি একটি ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে দিন। প্রতি রাতে এই কৌশলটি পুনরাবৃত্তি করুন। কিছুদিন পরে দেখবেন আঁচিলটি তার নিজের ইচ্ছায় পড়ে যাবে। ব্যথামুক্ত এই প্রক্রিয়াটি আপনাকে ডাক্তারের কাছে যাওয়া থেকে রেহাই দেবে।

কলার খোসার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকে বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। আপনার মুখের ওপর খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে ঘষে নিন এবং আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন পরে আপনি লক্ষ্য করবেন যে আপনার মুখের বলিরেখাগুলো কমতে শুরু করেছে।

কলার খোসার ভেতরের অংশ আপনার দাঁত সাদা করতে পারে! পছন্দসই প্রভাব পেতে আপনাকে খোসা চিবানোর দরকার নেই। সবচেয়ে সহজ কাজ হলো খোসার ভেতরের অংশটি দাঁতে ঘষে নিন। এটি প্রতিদিন করুন। দুই সপ্তাহ পরে ফলাফল নিজেই আয়নায় দেখতে পাবেন।

আপনি কি সেই লোকদের মধ্যে একজন যাদের সবসময় মশা কামড়ায়? তাহলে এই টিপসটি আপনার জন্যই। আপনার এর জন্য যা দরকার তা হলো একটি কলার খোসা। মশার কামড়ের উপর কলার খোসা একটু ঘষুন। কিছুক্ষণ পরেই খেয়াল করবেন যে আপনার চুলকানি কমতে শুরু করেছে।

আপনার কি উচ্চ কোলেস্টেরল আছে? তাহলে এখনই আপনার ডায়েটে কলার খোসা যোগ করার চেষ্টা করুন। এটি অদ্ভুত শোনাতে পারে তবে খোসায় ফলের চেয়ে বেশি ফাইবার থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছে উপরের শক্ত আবরণটি ফেলে ভিতরের নরম খোসা খাওয়া কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

কটন বাড দিয়ে কান খুঁচিয়ে যে বিপদ ডেকে আনছেন