গত কয়েক বছরে আমরা পরিবেশ সংরক্ষণে পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। এ ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা এখন বেশ সাধারণ, কারণ মানুষ যতটা সম্ভব অপচয় রোধের চেষ্টা করে। রান্নাঘরে এমন অনেক খাবার অপচয় হয় যা আমরা বুঝতেও পারি না। উদাহরণস্বরূপ, সবজি এবং ফলের খোসা। আমরা সাধারণত এগুলো ফেলে দিই। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এগুলো আসলে সুস্বাস্থ্যের একটি আশ্চর্যজনক এবং শক্তিশালী উৎস? যেমন কলা সবচেয়ে পরিপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যকর ফলের মধ্যে একটি হিসাবে পরিচিত, তবে অনেকেই জানেন না যে কলার খোসাও আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
কলার খোসার স্বাস্থ্য উপকারিতা
কলার খোসা সাধারণত ফল খাওয়ার পরে ফেলে দেওয়া হয়, তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন যে এটি থেকে অসংখ্য উপায়ে উপকৃত হতে পারেন। কলার খোসার কিছু আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা আপনাকে অবাক করে দিতে পারে। তাই, খোসা ফেলে দেওয়ার আগে এগুলো মনে রাখবেন-
১. ওজন কমাতে সাহায্য করে
বিশেষজ্ঞদের মতে, কলার খোসা ডায়েটারি ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। যারা ওজন কমাতে চান তাদের খাদ্যতালিকায় বেশি বেশি ফাইবার যোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কলার খোসা একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে। কলার খোসার ফাইবার আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং পেট ফাঁপা এবং অ্যাসিডিটি সহ হজমের সমস্যাও দূর করে।
২. রক্তচাপ কমাতে পারে
কলার খোসা ভিটামিন বি৬ এবং সি সমৃদ্ধ, সেইসঙ্গে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। বিশেষ করে পটাসিয়াম একটি সুপরিচিত খনিজ যা সোডিয়ামের প্রভাব মোকাবেলা করে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৩. ব্রণ কমাতে
ব্রণের জন্য তাৎক্ষণিক প্রতিকার খুঁজছেন? কলার খোসা এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকে কলার খোসা সরাসরি প্রয়োগ করলে ব্রণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে। এছাড়াও এটি ত্বকের অন্যান্য সমস্যা যেমন কালো দাগ, বলিরেখা, চুলকানি, ফুসকুড়ি এবং দাগ দূর করতেও সাহায্য করতে পারে।
৪. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
কলার খোসায় প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যে কারণে এটি ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করতে সাহায্য করে। কলার খোসায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, তাই এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
৫. ব্যথা উপশম করে
কলার খোসা অ্যান্টিসেপটিক এবং প্রদাহ-বিরোধী। আক্রান্ত স্থানে কলার খোসা লাগালে ব্যথা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত। এই ক্ষেত্রে, কলার খোসা সম্ভবত ফলের চেয়েও বেশি উপকারী।
রান্নায় কলার খোসা কীভাবে ব্যবহার করবেন
কলার খোসা কাঁচা খাওয়া কঠিন হতে পারে, তাই বিভিন্ন খাবার এবং রেসিপিতে এটি যোগ করতে পারেন। আপনি এটি কুকিজ এবং কেক তৈরিতে যোগ করতে পারেন। কলার খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন এবং যেকোনো বেকড খাবারে এটি যোগ করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।