জুমবাংলা ডেস্ক: ক্যাম্পাস এলাকায় রাস্তায় জায়গা ছেড়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্নাতকোত্তর শ্রেণির এক ছাত্রকে থাপ্পড় মেরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকে অধ্যায়নরত এক ছাত্রী।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং প্রীতিলতা হলের আবাসিক ছাত্রী।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ছয় শিক্ষার্থী বটতলার রাস্তা ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় ওই ছাত্রী তার এক বান্ধবীসহ একই রাস্তা ধরে বিপরীত দিক থেকে আসছিলেন। এ সময় ওই ছাত্রী ছয় শিক্ষার্থীকে রাস্তা ছেড়ে দিতে বলেন। তখন ওই ছয় শিক্ষার্থী জানান রাস্তায় যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা আছে। এ সময় ওই ছাত্রী উচ্চবাচ্য শুরু করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। সেখানে কয়েকজন শিক্ষার্থীর হস্তক্ষেপে তখনকার মতো বিষয়টি থেমে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এর কিছুক্ষণ পর ওই ছাত্রীর ছেলেবন্ধু শিহাব খান দিগন্ত সেখানে যান। তিনি ওই ছয়জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেন। কথা বলার সময় ওই ছাত্রী পেছন থেকে গিয়ে ওই ছয়জনের মধ্যে একজনের শার্টের কলার ধরে উপস্থিত সবার সামনে চড় মেরে দেন। এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোরগোল শুরু হয়। পরে ওই ছাত্রী ও তার বান্ধবী বটতলার একটি দোকানে ঢুকে পড়েন।
এ ঘটনা জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কয়েকজন সদস্য সেখানে যান। তারা ওই ছাত্রীসহ সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল অফিসে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে লাঞ্ছিত ওই শিক্ষার্থী বলেন, রাস্তায় যথেষ্ট জায়গা থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রী আমাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বলে। ভদ্রভাবে রাস্তার ফাঁকা জায়গা দিয়ে তাদের যাওয়ার অনুরোধ করি। কিন্তু ওই ছাত্রী অহেতুক উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছেতাই ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। পরে বিষয়টি মিটমাট করতে গেলে হুট করে এসে আমাকে চড় মেরে বসেন। আমি এ ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ছাত্রী বলেন, তাদের কাছে রাস্তা চাইলে তারা পাশের কাঁচা রাস্তা দিয়ে যেতে বলে এবং অন্যরকম অঙ্গভঙ্গি করে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে নেশাখোর বলে। আমাকে বার বার থাপ্পড় মারতে আসে। আমার সঙ্গে থাকা বান্ধবী আমাকে রক্ষা করতে চেষ্টা করে। এ রকম অবস্থা চলতে থাকলে এক পর্যায়ে তাকে থাপ্পড় দেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর তাজউদ্দিন শিকদার বলেন, আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় চেয়েছি। মঙ্গলবার ডিসিপ্লিনারি বোর্ড ও পরবর্তীতে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।