জুমবাংলা ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এই কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে আজ মঙ্গলবার ভোররাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের মন্দবাগ এলাকায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫জনের প্রাণহানি হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থলেই আট জনের মৃত্যু হয়। পরে বিভিন্ন হাসপাতালে মারা যান আরও সাত জন।
এতে আহত হয়েছেন শতাধিক। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণাবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান ও পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে দুটি রিলিফ ট্রেন।
দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের যাত্রী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢুকে থামার মুহূর্তে ঢাকাগামী তুর্ণা এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢুকে পড়লে এ দুর্ঘটনা।
এদিকে দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম-সিলেটের সঙ্গে রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। খুব দ্রুতই রেল যোগাযোগ শুরু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।