জুমবাংলা ডেস্ক : রিকশাভ্যানে আপেল, মাল্টার মাঝে দূর থেকে মনে হয় লটকন। কিন্তু কাছে গেলে ভুল ভাঙে। বড় বড় কাঁচা খেজুর। লোভনীয় এসব খেজুর আমদানি করা হয়েছে মিশর থেকে। প্রতিকেজি খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৫৬০ টাকা।
ফলের দোকানে অবশ্য লাল রঙের সুদৃশ্য নেটের মোড়কে ভরে বিক্রি করা হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি।
কয়েক বছর ধরে নগরের স্টেশন রোডের ফলমণ্ডির কয়েকজন আমদানিকারক এসব খেজুর আনছেন। ভালো চাহিদা থাকায় লাভ হচ্ছে বেশ। প্রতিযোগিতা থাকায় ক্রমে দামও নিম্নমুখী। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে খুচরা পর্যায়ে এ কাঁচা খেজুর বিক্রি হয়েছিল ৯০০ টাকা কেজি।
কাজীর দেউড়ি মোড়ে রিকশাভ্যান থেকে কাঁচা খেজুর কিনছিলেন আসকার দীঘির পূর্ব পাড় এলাকা থেকে আসা গৃহিণী আনোয়ারা বেগম। তিনি বলেন, ৫৬০ টাকা দরে কাঁচা খেজুর নিলাম আধাকেজি। খেয়ে দেখলাম অন্যরকম মিষ্টি। ৩০০ টাকায় ওজনে পেয়েছি ৩০টি। এর মধ্যে একটিতে দাগ আছে। সেটি বাদ দিলে প্রতিটির দাম পড়েছে ১০ টাকা। কিন্তু তারপরও আমি খুশি। পরিবারের লোকজন ও মেহমানদের কাঁচা খেজুর দিয়ে চমকে দিতে পারবো।
কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে ঢুকতেই মেসার্স বিছমিল্লাহ ফ্রুটস সেন্টার। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ফলমণ্ডি থেকে মিশরের কাঁচা খেজুরের ৫ কেজির কার্টন কিনে আনি। এরপর পচা, দাগি খেজুর বাদ দিয়ে আমরা প্যাকেট করি। মাসখানেক হলো বাজারে এসেছে কাঁচা খেজুর। প্রথম দিকে দাম একটু বেশি ছিলো। এখন প্রতিকেজি ৬০০ টাকা বিক্রি করছি।
তিনি জানান, ইদানিং বাংলাদেশেও সৌদি খেজুরের আবাদ হচ্ছে। ভারতেও আবাদ হয়েছে। এগুলো কিছুটা কষযুক্ত। তবে আসল স্বাদের খেজুর আমদানি হচ্ছে মিশর থেকে। চাহিদাও ক্রমে বাড়ছে।
পাশের আল্লারদান ফল বিতানের মালিক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মিশরের কাঁচা খেজুরগুলো এত সুন্দর, নিয়মিত ক্রেতারা দেখলেই কিনে নেন। অনেকে আছেন কয়েক দিন পর পর কিনতে আসেন।
ফলমণ্ডির মেসার্স আঁখি এন্টারপ্রাইজের মালিক তৌহিদুল আলম বলেন, রমজানকে সামনে রেখে অন্তত ১৫ পদের খেজুর আমদানি হয় মিশর, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে। শুকনো খেজুর সারা বছরই চলে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে কাঁচা খেজুরের চাহিদা বাড়ছে। আগস্টের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মোটামুটি কাঁচা খেজুর আসে।
তিনি জানান, মিশরের কাঁচা খেজুর এখন ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে ফলমণ্ডিতে। সূত্র : বাংলানিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।