জুমবাংলা ডেস্ক : দুই সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। সেই কাঁচা মরিচ বগুড়ার আদমদীঘিতে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে এসেছে ১২ টাকা কেজিতে। আজ বুধবার সকালে আদমদীঘি সদর ও উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম, সান্তাহার বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে খুচরা ১৫ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে।
গত বছরের তুলনায় এবার মরিচ চাষের পরিমাণ কিছুটা বেশি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দামও বৃদ্ধি করা হয়েছিল। যা গত দুই সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। যা এখন পাইকারি বাজারে ১২ ও খুচরা বাজারে ১৫ টাকায় নেমে এসেছে।
উপজেলার ছাতিয়ান গ্রাম হাটে মরিচ বিক্রি করতে আসা অন্তাহার গ্রামের আবু সাঈদ জানান, ১২ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছেন। কাঁচা মরিচ পাইকারী ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন জানান, হাট-বাজারে আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। কাঁচা মরিচ পচনশীল। তাই মরিচের দরপতন হয়েছে।
মরিচচাষি বেলাল হোসেন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে মরিচ চাষের জন্য প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। হঠাৎ পাইকারি বাজারে ১২ টাকা কেজিতে বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তোলা সম্ভব হচ্ছে না। এখন ক্ষেত থেকে প্রতিকেজি মরিচ তুলতে ৫ টাকা শ্রমিকের মজুরি দিতে হচ্ছে।
উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের মরিচ ক্রেতা ফজলুল হক জানান, বুধবার সকালে খুচরা বাজারে ১৫ টাকা কেজি দরে মরিচ কিনেছি। যা গত সোমবারও ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ মরিচ চাষ হয় ইউনিয়ন এলাকাগুলোতে। সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে ছিল কৃষি বিভাগ। ফলে এবার মরিচের ফলনও ভালো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।