লাইফস্টাইল ডেস্ক: কাঁঠাল রসালো মৌসুমী ফল। এই ফলের পুষ্টিগুণ অনেক। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের কাঁঠাল খাওয়া উচিত নয়। এরা কাঁঠাল খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। জানুন কারা কারা ভুলেও কাঁঠাল খাবেন না।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, কাঁঠাল অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। এই ফলে নানা ধরনের খনিজ, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার রয়েছে। তাই নিয়মিত কাঁঠাল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ ভালো। তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন, এই উপকারী কাঁঠালই অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে দেহে একাধিক সমস্যার উদ্রেক হয়। তাই এই ফল বেশি পরিমাণে না খাওয়াই বুদ্ধিমানের।
অ্যালার্জির কারণ হতে পারে
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অদ্ভুত ব্যবহারের কারণে অনেকেই অ্যালার্জিতে ভোগেন। আসলে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত ব্যক্তির ইমিউনিটি নিরীহ কিছু উপাদানের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণা করে দেয়। ফলে শরীরে একাধিক লক্ষণ দেখা দেয়। আর এমন অ্যালার্জি কিন্তু কাঁঠাল খেয়েও হতে পারে। আসলে কাঁঠালে রয়েছে পোলেন বা ল্যাটেক্স। আর এই দুই উপাদান অনেকের শরীরে অ্যালার্জির কারণ হতে পারে বলে জানাচ্ছে ওয়েবমেড। তাই যাদের এই ধরনের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা অবশ্যই কাঁঠাল এড়িয়ে চলুন।
ডায়াবেটিসে ক্ষতিকর
ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। আগামী কিছু বছরের মধ্যে এই অসুখটি যে প্রায় প্রতিটি পরিবারেই নিজের অস্তিত্ব জানান দেবে, এই নিয়েও সতর্ক করে রেখেছেন চিকিৎসকরা। তাই এই ভয়াল রোগ নিয়ে সব মহলকেই সতর্ক থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই যারা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত বা যারা প্রিডায়াবেটিস সেকশনে রয়েছেন তারা বেশি পরিমাণে কাঁঠাল খেলেই অসুস্থ হবেন। কেননা, এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই বেশি। ফলে ব্লাড সুগার বৃদ্ধি পায় দ্রুত গতিতে।
সার্জারির পর কাঁঠাল খেলেই সমস্যা
সার্জারির পর বেশি পরিমাণে কাঁঠাল খেলেই কিন্তু একাধিক শরীরিক সমস্যা পিছু নিতে পারে। তাই সাবধান থাকা ছাড়া অন্য কোনও গতি নেই। আসলে সার্জারির পরপর রোগীকে কিছু ওষুধ দেওয়া হয়। আর সেই ওষুধের সঙ্গে বিক্রিয়া করতে পারে কাঁঠাল।
এছাড়া সার্জারির আগেও কাঁঠাল খেলে সমস্যা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে ঘুম ঘুম ভাব এবং আচ্ছন্ন ভাব থাকতে পারে। তাই যেভাবেই হোক সার্জারির আগে কাঁঠাল খাওয়া কমান।
প্রেগন্যান্সিতেও বাড়বে বিপদ
এমনিতে প্রেগন্যান্সিতে কাঁঠাল খেলে তেমন একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে সারাদিন অত্যধিক পরিমাণে কাঁঠাল খেলে কিন্তু প্রেগন্যান্সির সময়েও জটিলতা বাড়তে পারে। তাই যেভাবেই হোক সন্তানসম্ভবা অবস্থায় কাঁঠাল খাওয়া কমাতে হবে। এমনকী ব্রেস্টফিড করার সময়ও আপনাকে এই ফল অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। তাহলেই একাধিক সমস্যা থেকে দূরে দূরে থাকতে পারবেন।
দিনে কতটুকু কাঁঠাল খাবেন?
যে কোনো সুস্থ ব্যক্তি, অর্থাৎ যাদের ডায়াবিটিস, প্রেশার, কোলেস্টেরল বা অন্যান্য ক্রনিক রোগ নেই, তারা প্রতিদিন কাঁঠালের ২ থেকে ৩টি কোয়া খেতেই পারেন। তবে ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা থাকলে এই ফল খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তিনিই আপনার শারীরিক অবস্থা বুঝে কাঁঠাল খাওয়ার পরিমাণ ঠিক করে দেবেন। তাই অহেতুক চিন্তা করবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।