আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ধ র্ষণের হাত থেকে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল এক কিশোরী। নিজেকে বাঁচানোর লড়াইয়ে ধ র্ষকের কাঁধে জোরে কামড় বসিয়ে দিয়েছিল। তারপরও বর্বরতার হাত থেকে রেহাই মেলেনি তার। বাসের এক কন্ডাক্টর ও তার বন্ধু মিলে নির্মমভাবে ধ র্ষণ করে মেয়েটিকে।
শেষ পর্যন্ত সেই কামড়ের দাগই জেলে ঢোকাল ১৭ বছরের মেয়েটির দুই ধ র্ষককে। অপরাধের তদন্তের ফরেনসিক সায়েন্সের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাউথ ইন্ডিয়া মেডিকো লিগাল অ্যাসোসিয়েশনের ১৬তম বৈঠকে উঠে এসেছে এই ঘটনার কথা।
২০১৩ সালে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর পুদুচেরিতে এই ধ র্ষণের ঘটনা ঘটে। সেই সময় পুলিশি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ ওঠার পর ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে ধ র্ষণের এই ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিসিআইডির হাতে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই ধ র্ষকের কাঁধে কামড়ের দাগকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেন কর্মকর্তারা। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আর কোনো তথ্য প্রমাণ না থাকলেও একজনের কাঁধে কামড়ের দাগ দেখেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যান গোয়েন্দারা। শেষ পর্যন্ত মেয়েটির ডেন্টাল রেকর্ডের সঙ্গে কন্ডাক্টরের কাঁধের দাগ মিলিয়ে দেখা হয়। আর এতেই ধরা পড়ে যান ওই ধ র্ষক। পরে ওই কন্ডাক্টরের বন্ধুকেও গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তকারী সংস্থার সদস্যরা সন্দেহভাজন দুই ধ র্ষককে গ্রেফতারের পর পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে হাসপাতালের এক চিকিৎসক এক ধ র্ষকের কাধে পাওয়া কামড়ের দাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। এসময় সন্দেহভাজন ওই ধ র্ষক চিকিৎসককে জানান, ধ র্ষণের সময় ১৬ বছরের এক কিশোরী তাকে কামড়ে দিয়েছেন।
ভারতের শিশু সুরক্ষা আইনে এ দুই অভিযুক্তকে ধ র্ষণের দায়ে পুদুচেরির বিশেষ আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।