মারাত্মক অপরাধ ধোকা বা প্রতারণা করা। হোক তা ছোট কিংবা বড় মানুষের সঙ্গে; হোক কিংবা বন্য পশুর সঙ্গে হোক। ইসলামে ধোকা হারাম।
প্রিয় নবির (সা.) ঘোষণা- তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ধোকা দেয় বা প্রতারণা করে সে আমার দলভূক্ত নয়।’ (মুসলিম, মিশকাত)।
প্রিয় নবি (সা.) কিন্তু এ কথা বলেননি- যে নামাজ পড়বে না সে আমার দলভুক্ত নয় কিংবা যে রোজা রাখবে না সে আমার দলভুক্ত নয়। অথচ নামাজ ও রোজা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা তরক করলে অনেক গোনাহ হওয়া সত্ত্বেও প্রিয় নবি (সা.)‘দলভুক্ত নয়’ বলে ঘোষণা দেননি।
সুতরাং মানুষের উচিত, ধোকা বা প্রতারণা থেকে বিরত থাকা। কেননা, ধোকা বা প্রতারণার দ্বারা মানুষ বিশ্বনবির (সা.) জামাআত থেকে বের হয়ে যায়।
এছাড়াও ধোকা বা প্রতারণায় দুনিয়া ও পরকালে রয়েছে বেশ কিছু ক্ষতি।
আর তাহলো-
প্রতারক ব্যক্তি সমাজে চরম নিকৃষ্ট বলে বিবেচিত। কেউ তাকে বিশ্বাস করে না বরং চরম নীচুতা ও মানসিক কলংকের পরিচায়ক।
* প্রতারণার ফলে মানুষ ধীরে ধীরে মানুষের বিশ্বাস থেকে ওঠে যাওয়ার পাশাপাশি আল্লাহ থেকেও দূরে সরে যায়।
* প্রতরণা মানুষের সম্পদ ও বয়সের বরকত ধ্বংস করে দেয়।
* প্রতারণায় মানুষের ঈমান একেবারেই দুর্বল হয়ে যায়।
* প্রতারণার ফলে মানুষের দোয়া কবুলের পথও বন্ধ হয়ে যায়।
* সর্বোপরি প্রতারণা মানুষকে জাহান্নামের দিকে ঠেলে।
মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ তাআলা ধোকা বা প্রতারণা থেকে হেফাজত থাকার পাশাপাশি দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে সঠিক পথে নিজেকে পরিচালিত করার তাওফিক দান করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।