স্পোর্টস ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে লুসাইল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের শুরুতে আধিপত্য ছিল ক্রোয়েশিয়ার। ২৫ মিনিটের পর ম্যাচে ধীরে ধীরে ফেরে আর্জেন্টিনা। রক্ষণ অটুট রেখে পাল্টা আক্রমণের অপেক্ষায় থাকে মেসিরা।
খেলার ৩৪ মিনিটে লিড নেয় আর্জেন্টিনা। ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ নিজেদের বক্সের মধ্যে আলভারেজকে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি মেসি।
পেনাল্টি শুট আউটের ক্ষেত্রে লিওনেল মেসির পা আর তার মেধার বিপক্ষে জেতা যেকোনো গোলরক্ষকের জন্য প্রায় অসাধ্য। কিক নেওয়ার ঠিক আগ মুহূর্ত পর্যন্ত গোলরক্ষকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। এরপর তার মুভমেন্ট দেখেই শট নেন লিওনেল মেসি।
ক্রোয়েট গোলরক্ষকের সাথে নিজের কৌশল মিলে যাওয়ায় ভিন্ন পরিকল্পনা সাজাতে হয় মেসিকে। আর তাতেই সঠিক দিকে ঝাঁপ দিলেও মেসিকে রুখতে পারেননি লিভাকোভিচ। মেসির বুলেট গতির কাছে হার মানতে হয় ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষককে।
আর এই পেনাল্টি থেকে গোল পাওয়ার পেছনের বিষয়টি এক সাক্ষাৎকারে জানান মেসি। তিনি বলেন, আমি রুলি ও দিবুর সঙ্গে ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষকের কৌশল পর্যালোচনা করেছি। সে কীভাবে জাপান ও ব্রাজিলের বিপক্ষে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছিল সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম।
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি বলেন, সবচেয়ে ভালো উপায় ছিল তাকে চমকে দেওয়া। অপেক্ষা করে তাকে দাঁড় করিয়ে রাখার চেয়ে প্রথমবারেই মেরে দেওয়া। যখন তারা তাকে অনেকক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখে এটা কঠিন হয়ে পড়ে। আমি ভেবেই রেখেছিলাম এমন শট নেব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।