জুমবাংলা ডেস্ক : মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে ‘কাজলরেখা’ শুধু ঈদের ছবি নয়, বাংলা বর্ষবরণেরও ছবি। কেননা এই সিনেমায় দর্শক পাবেন প্রাচীন বাংলার রূপবৈচিত্র্য, রহস্য ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন। অভিনয়শিল্পীদের পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে সেট ডিজাইন, সবকিছুই সাবেকি আর দৃষ্টিনন্দন। তবে ঈদে সিনেমাটি মুক্তি দেয়া ঠিক হলো কিনা এ নিয়ে রয়েছে ভাবনা। কারণ ঈদ মানেই বাণিজ্যিক ছবি। এসব ছবির ভিড়ে ‘কাজলরেখা’র মতো সাহিত্যনির্ভর ছবি দর্শক কতটা গ্রহণ করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে প্রথম সিনেমাতেই নজর কেড়েছেন মন্দিরা চক্রবর্তী।
গুণী পরিচালক গিয়াসউদ্দিন সেলিমের বিশেষ প্রজেক্ট ‘কাজলরেখা’র অন্যতম আকর্ষণ লোকগান। সেই গানের ঝলকে দর্শক-শ্রোতা আপ্লুত। সিনেমাটিকে ইতোমধ্যেই ‘মিউজিক্যাল ফিল্ম’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন নির্মাতা। ছবিতে প্রধান চরিত্রে আছেন নবাগত মন্দিরা চক্রবর্তী। সিনেমায় কাজলরেখার দুটি সময়কে দেখানো হয়েছে। প্রথমে নাম ভূমিকার জন্য নির্মাতার পছন্দ ছিলেন অভিনেত্রী অগ্নিলা ইকবাল। কিন্তু তিনি প্রবাসী হওয়ায় পরিচালক বিকল্প ভাবেন। কাজলরেখার ছোটবেলার চরিত্রে দেখা গেছে সাদিয়া আয়মানকে। বড় বেলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘চ্যানেল আই’ সেরা নাচিয়ে প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসা মন্দিরা চক্রবর্তী।
৪০০ বছর আগের রূপকথার গল্প বর্তমান সময়ে তুলে এনেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। এমন গল্পে কাজলরেখা হয়ে উঠতে কম পরিশ্রম করতে হয়নি মন্দিরাকে। দৃশ্যায়নে সেট থেকে শুরু করে পারিপার্শ্বিক পরিবেশে খাপ খাওয়ানো কষ্টসাধ্য কাজ ছিল। কিন্তু পুরো ব্যাপারটি জটিল হলেও মন্দিরা ভালোভাবেই উতরে গেছেন। মন্দিরা সিনেমায় নতুন হলেও, শোবিজে তার পথচলা বহু বছরের। চ্যানেল আইয়ের সেরা নাচিয়ে রিয়েলিটি শো থেকে তাঁর পরিচিতি বাড়ে। এই প্রতিযোগিতায় তিনি রানারআপ হয়ে আলোচনায় আসেন। তাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেন নির্মাতারা।
মা-বাবা, দুই ভাই নিয়ে মন্দিরার পরিবার। পরিবারের সবাই সংস্কৃতিমনা। ছোটবেলা কেটেছে খুলনায়, সেখানে নাচের তালিম নিয়েছেন। নাচে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। আর এ সবের পেছনে তার মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। ‘কাজলরেখা’য় নাচের মেয়ে মন্দিরার সৌন্দর্যে মুগ্ধ দর্শক। তবে তিনি হুট করে নায়িকা হতে চাননি। এ জন্য সময় নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছেন। এর মধ্যেই প্রস্তাব আসে কাজলরেখা হওয়ার।
ছোটবেলায় মন্দিরার দেখা প্রথম সিনেমা ‘মনপুরা’। গিয়াস উদ্দিন সেলিম ছিলেন পরিচালক। তাঁরই হাত ধরে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটল মন্দিরার। এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে মন্দিরা বলেন, ‘ আমি যখন ‘মনপুরা’ দেখি, তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। বড় হতে হতে মনপুরা ছবিটাই মাথায় ঢুকেছে। কারণ, ওটাই ছিল আমার প্রথম দেখা চলচ্চিত্র। সেই পরিচালকের সিনেমার প্রস্তাবে না করার সাহস আমার ছিল না। মনে হচ্ছিল আমি তাঁর কাজ করার জন্যই অপেক্ষায় ছিলাম।’
‘সেলিম ভাইয়ের মতো এমন পরিচালক আমি পাইনি। সে আমার গুরু। শুরু থেকে এত সুন্দর করে অভিনয়টা আমাকে শিখিয়েছেন, মনে হয়েছে গল্প করতে করতে অভিনয় শিখেছি আমি। এত সুন্দর করে, সহজ করে অভিনয় শেখাতে পারেন, আমার জানা ছিল না।’ গণমাধ্যমে বলেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। ‘নীলচক্র’ নামে একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মন্দিরা। এ সিনেমায় তাকে আরেক জনপ্রিয় নায়ক আরিফিন শুভর বিপরীতে দেখা যাবে। মিঠু খান পরিচালিত এই সিনেমাটির চিত্রনাট্য ও কাহিনি বিন্যাস করেছেন নাজিম উদ দৌলা। ডার্ক প্যাটার্ন গল্পের এই সিনেমা নিয়ে মন্দিরা চক্রবর্তী দারুণ আশাবাদী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।