আপনি কি ইদানীং কাজ করতে গিয়ে হাঁপিযে ওঠেন? সব সময় ক্লান্ত লাগে আর অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়েন? এসবের প্রভাব নিশ্চয়ই পড়তে শুরু করেছে আপনার কাজের ফলাফলেও? বর্তমান প্রতিযোগিতাশীল বিশ্বে চাপ কোথায় নেই? তাই কর্মক্ষেত্রে চাপ অনুভব করা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণেও রাখতে হবে। কারণ চাপ যত বাড়তে দেবেন, আপনার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ততই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক চাপ সামলে কাজে মনোযোগ বাড়ানোর উপায়-
১. নির্দিষ্ট কাজের সময় নির্ধারণ করুন
মনোযোগ এবং প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর কাজের সময় নির্ধারণ করা জরুরি। এটি কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে। নিরবচ্ছিন্ন এবং গভীর কাজের জন্য সহজভাবে সময় সেট করুন। ভোরবেলা বা যে সময়টা আপনি মনে করেন যে কাজের জন্য সবচেয়ে উপযোগী, সেই সময়টা বেছে নিতে পারেন। কাজের জন্য একটি সঠিক রুটিন নির্ধারণ করলে তা আপনার কর্মক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। কাজে মনোযোগ দেওয়া তখন অনেক সহজ হয়ে যাবে।
২. এক রাত আগে পরিকল্পনা করুন
মনোযোগ বাড়ানোর আরেকটি শক্তিশালী উপায় হলো আপনার আগের রাতে পরিকল্পনা করা। সঠিক পরিকল্পনা আপনাকে সামনের দিনের সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত এবং আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করতে পারে। পরিকল্পনার মধ্যে ছোট এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে খুঁজে বের করা এবং তালিকাভুক্ত করা জরুরি। কাজের পাশাপাশি বিশ্রামের জন্যও প্রয়োজনীয় সময় বরাদ্দ রাখুন।
৩. সঠিক হাইড্রেশন বজায় রাখুন
সঠিক হাইড্রেশন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটি শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং প্রয়োজনীয় শারীরিক কার্য সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন তো করেই, সেইসঙ্গে মনোযোগ বাড়াতেও সাহায্য করে। ভাবছেন কিভাবে? সঠিক হাইড্রেশন মস্তিষ্কের ফাংশন বজায় রাখার কাজ করে। এটি প্রতিদিনের পানির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে, শারীরিক ও মানসিক অনেক সমস্যা দূরে রাখে। ফলে আপনার কাজ করা সহজ হয়।
৪. বিভ্রান্তি দূর করুন
ক্রমাগত সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা, কল এবং ইমেল ব্যবহার আপনাকে কাজ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিভ্রান্ত করতে পারে! কাজে ভাললোভাবে মনোনিবেশ করার সহজ উপায় হলো গুরুত্বপূর্ণ কাজে কাজ করার সময় ফোন দূরে রাখা, এতে মনোযোগ দেওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। বিভ্রান্তি দূর করার আরও সহজ উপায় হলো, একটি আরামদায়ক এবং বিভ্রান্তিমুক্ত পরিবেশে দূরে শান্ত জায়গায় কাজ করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।