জুমবাংলা ডেস্ক : দুবাইয়ে কাজ দেয়ার নামে সৌদি আরবে নিয়ে বিক্রি করে দেয়া হয় এক নারীকে। দেশে বসেই মানবপাচারের লোমহর্ষক কাহিনী উঠে এসেছে ভুক্তভোগীর বয়ানে। বেঁচে ফেরা এই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ফাতেমা ওভারসিজের মালিকসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বিদেশ বিভূঁইয়ে ভাগ্যের নির্মমতার মুখোমুখি হন তরুণী। বেঁচে ফিরতে পেরেছেন, তবে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের নিদারুণ অভিজ্ঞতা।
গত বছরের অক্টোবরে দুবাই যাওয়ার জন্য দেড় লাখ টাকা খরচ করেন এই তরুণী। কিন্তু তাকে সৌদি আরবে বিক্রি করে দেয় দালালচক্র। বেতন চাইতে গেলে মালিকের কাছে শুনতে হয় ৬ লাখ টাকায় কিনে নেয়া হয়েছে। কৌশলে দেশে বাবা-মাকে বিষয়টি জানানোর পর মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়।
ভুক্তভোগীর তথ্যের ভিত্তিকে মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পাচারকারী প্রতিষ্ঠান ফাতেমা ওভারসিজে অভিযান চালায় র্যাব। প্রতিষ্ঠানের মালিক কবির হোসেন ও সহযোগী সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের একজন বলেন, এই দালালরা বিভিন্ন ধরনের নানা রকমের বিজ্ঞাপন দিয়ে বেশি বেতনের লোভ দেখিয়ে নারী-পুরুষকে নিয়ে আসে।
তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচারের মামলা দায়ে করা হবে বলে জানান র্যাব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।