
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একে একে আট দিন ফিরিয়েছে নামিদামি ৪টি মেডিক্যাল কলেজ। কাটা পা নিয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারের সামনে পচনধরা পা নিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন দিনমজুর জয়ন্ত রাজবংশী। জয়ন্তর দেখভাল করেছেন তার পরিচিতি হুমায়ুন কবির।
হুমায়ুন কবির জানান, অনেক টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। আমার কাছে আর টাকা নেই। দিদিকে বলে ফোন করেও ঠাঁই হলো রাস্তায়! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এর বিহিত চাই।
গত ১৮ ডিসেম্বর ডানকুনিতে মালগাড়ির ধাক্কায় পা কাটা পরে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের বাসিন্দা জয়ন্ত রাজবংশীর। তার পর থেকে তাকে নিয়ে হুমায়ুন ছুটছিলেন উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। সেখানে থেকে পাঠানো হয় পিজির ট্রমা কেয়ার ইউনিট। সেখানে বেড না পেয়ে রাত আড়াইটায় আর জি কর মেডিক্যালে। একাধিক পরীক্ষা হয়। এরপর উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে ফের পাঠানো হয় মেডিক্যাল কলেজে। পাঠানো হয় এমারজেন্সিতে। ১৯ তারিখে ভর্তির পর ২৩ তারিখে পাঠানো হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে কলেজের এমারজেন্সিতে। রাত ৮টায় অপারেশন হওয়ার কথা। একটি মেশিন খারাপ থাকায় তার ১১টায় তাকে পাঠানো হয় এসএসকেএমে।
এরকম টানা হয়রানির মধ্যেই ২৪ ডিসেম্বর বোনকে বলো-তো ফোন করে জয়ন্তর ঠাঁই হয় আরজি কর হাসপাতালে। বিকাল ৪টেয় ভর্তি নেওয়া হয় ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। কিন্তু ডাক্তাররা জানিয়ে দেন শুক্রবার আউটডোরে দেখিয়ে ভর্তি নিয়ে অস্ত্রোপচার করা হবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে শহর যখন বড়দিন পালন করার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তখন পুলিশ ডেকে জয়ন্তকে বের করে দেওয়া হল রাস্তায়। পচা, দুর্গন্ধ বের হচ্ছে পা থেকে। এখন খোলা আকাশের নীচে কাতরাচ্ছেন জয়ন্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।