পশ্চিমা বিশ্বের অনেক চাপ উপেক্ষা করে কাতার যেভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। বিশ্বকাপ কূটনীতিতে তারা নিজেদের আইন ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
পশ্চিমা বিশ্ব সবসময় আরব অঞ্চলকে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরে। কাতার অল্প জায়গার মধ্যে টুর্নামেন্ট ব্যবস্থাপনা, অতিথিদের আপ্যায়ন সহ সবকিছু সুন্দরভাবে আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছে।
বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে কাতারের কূটনীতি বেশ বিস্ময়কর। সৌদি আরব, মিশর ও আরব আমিরাত অতীতে কাতারকে বয়কট করেছিল। তারাই বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কাতারের প্রশংসা করেছেন।
ওই অনুষ্ঠানে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান উপস্থিত ছিলেন। ফিলিস্তিন, আলজেরিয়া, সেনেগাল, রুয়ান্ডা ও ইরানের প্রতিনিধিরাও এখানে উপস্থিত ছিলেন ।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো পশ্চিমা বিশ্বের বড় কোন রাষ্ট্রীয় অফিসার এখানে উপস্থিত ছিলেন না। বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ইসলামী মূল্যবোধকে সবার সামনে তুলে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে কাতার।
অবকাঠামো থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি আয়োজনে কাতারের এ ধরনের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। ইসলাম সম্পর্কিত অনেক ইংরেজি বই বিক্রির চেষ্টা হচ্ছে। বাস ও রেস্টুরেন্টে ব্যানার ও পোস্টারে এসব বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে।
বিভিন্ন প্রদশর্নীর মাধ্যমে ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে রিপ্রেজেন্ট করা হচ্ছে। যেসব মুয়াজ্জিন সুমধুর কন্ঠে আযান দেওয়ার সক্ষমতা রাখেন তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের মাঝখানে নামাজের বিরতি রাখা হয়েছে।
বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে কাতার সরকারের এ অভিনব উদ্যোগ প্রশংসা কুুড়িয়েছে। এর আগে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কখনও কুরআনের তিলওয়াত দিয়ে শুরু হয়নি। কিন্তু কাতার তা করে দেখাতে সক্ষম হয়েছে।
জাকির নায়েকের কাতার সফরকে কেন্দ্র করে অনেকের অভিযোগ থাকলেও কাতার তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আইন বজায় রেখেও ফুটবল বিশ্বকাপকে সুন্দর করে রিপ্রেজেন্ট করা সম্ভব। অন্তত কাতার এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।