লাইফস্টাইল: বিশ্বকাপ মানে বিশ্বের বাঘা সব ফুটবলারদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখানোর মঞ্চ। ঠিক একইভাবে বিশ্বকাপ মাঠের বাইরেও কিছু মানুষের কাছে বিরাট এক চ্যালেঞ্জ। কারণ খেলোয়াড়দের খাবার, যাত্রা পথের পরিবহন, অনুশীলন সুবিধা সবই হতে হবে নিখুঁত। আসলে অনেক সময় মাঠের বাইরের এই ছোটখাট বিষয়গুলো গড়ে দেয় ব্যবধান।
ভেবে দেখুন তো, পেটের গোলমালে ফাইনালেই নামতে পারছেন না রোনালদো, মেসি কিংবা নেইমার! এমনটা কি মেনে নেয়া যায়? এ কারণে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া বেশিরভাগ দলের খেলোয়াড়দের আগেই স্বাগতিক দেশে পৌঁছে যান অংশগ্রহণকারী দেশের কর্মকর্তারা। খাবার তো বটেই, অনেক সময় চলাচলের জন্য গাড়িও নিজেদের দেশ থেকে নিয়ে যাবার নজির আছে।
২০১৪ সালে বিশ্বকাপ জেতা জার্মানি ব্রাজিলে তাদের বেসক্যাম্প করেছিল ক্যাম্পো বাহিয়াতে। এক জার্মান কোম্পানি সেখানে রিসোর্ট বানাচ্ছে জানতে পেরে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সব কিছু তাদের চাহিদামত তৈরি করে নিয়েছিল। সেখানে ম্যাকডোনাল্ডের মতো নকশায় ক্যাফে আর সোনালি চুলের সুন্দরী ওয়েইট্রেসরাও নাকি ছিল! সেই বিশ্বকাপে জার্মান দলের প্রধান পাচক ছিলেন হোল্ডার স্ট্রমবুর্গ। তিনি খেলোয়াড়দের পাতে তুলে দিতেন প্রচুর সবজি, পুষ্টিকর শষ্যদানা আর ফলমূল। মানুয়েল নয়্যার ভালোবাসতেন সি-ফুড সালাদ, কারো পছন্দ ছিল টমেটো স্যুপ, কারও আবার টাটকা সালাদে পনির। এবারও নিশ্চয় জার্মান দল সঙ্গে নিয়ে আসবেন এমন কোনো পাচক, যে খেয়াল রাখবে দলের সবার পছন্দ-অপছন্দ।
খেলাধুলায় বিজ্ঞান আর গবেষণালব্ধ তথ্য-উপাত্ত এখন ব্যবহার হচ্ছে প্রতিটি পর্যায়ে। স্পেনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল বের করেছেন, ফুটবল মাঠের পজিশন অনুযায়ী খাবারের তালিকাটা হওয়া দরকার ভিন্ন। কারণ একেক জায়গায় শরীরের চাহিদা একেক রকম। মাঝমাঠের খেলোয়াড়দের খেলার ধরন এবং প্রতিপক্ষ ভেদে ১২-১৩ কিলোমিটার দৌড়াতে হয় একটা ম্যাচে। আবার ফরোয়ার্ডরা দৌড়ায় গড়ে ৯ কিলোমিটার। তবে তাদের দৌড়গুলো সব ছোট ছোট স্প্রিন্টের সমষ্টি, তাদের ফরোয়ার্ডদের খাবারে কার্বোহাইড্রেট ও গ্লুকোজের পরিমাণ থাকবে বাড়তি। ম্যাচের সময় সাইডলাইনে এনার্জি বার প্রস্তুত থাকে ফরোয়ার্ডদের জন্য, যাতে চট করে এক কামড়ে তারা বেশ খানিকটা রসদের যোগান দিয়ে দিতে পারেন শরীরকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।