বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্মের গল্প শুরু করলে সেটা ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ থেকেই করা উচিত। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা। উভয়পক্ষের জমাট রক্ষণ।একপাশে মেসি-লাভেজ্জি-হিগুয়াইন, অন্যপাশে অরিগি-এডেন আজার-ডি ব্রুইনারা শট নিয়েই চলেছেন। কিন্তু বেলজিয়ান রক্ষণ ভাঙতে পেরেছিলেন একমাত্র হিগুয়াইন।
যদিও গোলটা এসেছিল কিছুটা ভাগ্যের জোরে; কিন্তু গোল তো গোলই। ৯ মিনিটে ঐ একমাত্র গোলে বেলজিয়ামের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ ছিল বেলজিয়ামের জন্য শিরোপা জেতার সবচেয়ে সুবর্ণ সুযোগ।
গোল্ডেন জেনারেশনের সকল সদস্য তখন এমন একটা বয়সে, যে বয়সে একজন ফুটবল খেলোয়াড়ের মানসিক এবং শারীরিক দিকে ভারসাম্য চলে আসে। এই ‘গোল্ডেন জেনারেশন’ কাতার বিশ্বকাপসহ খেলেছে মোট তিনটি বিশ্বকাপ, দু’টি নেশন্স কাপ এবং দু’টি ইউরো।
কিন্তু তাদের অর্জনের খাতাটা যে একেবারেই শূন্য। ডি ব্রুইনা নিজেই সেদিন বলেছেন, এই দলটি একেবারে বুড়িয়ে গেছে। ভুল কিছু কিন্ত তিনি বলেননি। যে তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে বেলজিয়াম স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল, তারা অনেকেই চলে এসেছেন ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে।
এডেন আজার তো হঠাৎ অবসরই নিয়ে ফেললেন বিশ্বকাপ যাত্রা শেষে। সোনালী সময় শেষ হয়ে গেল, কিন্তু কিছু যে জেতা হলো না। ভরসা ছিল রোমেলু লুকাকুর উপরও।
ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচে বেঞ্চে ছিলেন, কিন্তু দল একেবারেই গোলের দেখা পাচ্ছিল না বলে দ্বিতীয়ার্ধে রবার্তো মার্তিনেস নামিয়েছিলেন তাকে। ক্রোয়াটদের জালে এক গোল দিলেই পাশার দান উলটে যেত।
সেখানে লুকাকুর গোল মিসের মহড়া দেখে গ্যালারিতে থাকা রেড ডেভিল সমর্থক দুয়োটাও দিতে যেন ভুলে গিয়েছিল। বেলজিয়ামের হাতে এখন এমন খেলোয়াড় নেই, যারা ভবিষ্যৎ বেলজিয়ান ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। আসলে বেলজিয়ামের গেছে যে দিন, হয়তো একেবারেই গেছে। আপাতত রয়েছে একরাশ আক্ষেপ। এক ‘গোল্ডেন জেনারেশন’কে নিয়ে আক্ষেপ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।