
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ২৪ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে তেইরপুর এলাকায় আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ১৩২/৩–এস-এর সামনে অনুষ্ঠিত হয় এ আনুষ্ঠানিকতা।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা বা অবস্থানের অভিযোগে আটক হওয়া ২৪ জন বাংলাদেশিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে বিএসএফ।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ১৩২/৩–এস–এর সামনে তেইরপুর এলাকায় এ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ফিরিয়ে দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ মোট ২৪ জন রয়েছেন। তারা হলেন—
শরিফুল ইসলাম (৪৭), নিলিমা বেগম (৪১), আব্দুর রহিম (১৪), আদুরী খাতুন (৮), আশিক বিশ্বাস (১৬), রাতুল হোসেন (২১), কুলছুম খাতুন (১৮), উজ্জ্বল হোসেন (২), রেজাউল (৪০), জনি আহম্মেদ (১৮), রকিব হোসেন (২১), জিহাদ (২০), আবুবক্কর সিদ্দিক (২৪), হাসান আলী (২৬), জিন্নাত আলী (৩৪), জাফর চাপরাশি (39), রাছেল হাওলাদার (২৭), আকতার হোসেন (৩২), রাজু (৩১), সিমা বেগম (৩১), শান্তা আক্তার (২৭), কাজী জসিম উদ্দিন (৪৭), লিলি খাতুন (৪৩) ও আছিয়া আক্তার (৮)।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কাথুলী কোম্পানির দপ্তর কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. কামরুজ্জামান। আর বিএসএফের প্রতিনিধিত্ব করেন ভারতের নদীয়া জেলার তেহট্টার ৫৬ ব্যাটালিয়নের তেইরপুর কোম্পানি কমান্ডার এসি আনচ কুমার।
বিজিবি জানায়, নিয়মিত বৈঠক ও সমন্বয়ের অংশ হিসেবে এ ধরনের হস্তান্তর কার্যক্রম দুই দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করে।
বিজিবি জানায়, হস্তান্তর হওয়া এসব ব্যক্তি দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিভিন্ন সীমান্তপথে ভারতে প্রবেশ করে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। সেখানে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিজিবির কাছে ফেরত দেয়।
কাথুলী বিজিবির দপ্তর কমান্ডার নায়েক সুবেদার কামরুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে সবাইকে গাংনী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন জানান, হস্তান্তর হওয়া ২৪ জনকে থানায় রাখা হয়েছে। যাচাই–বাছাই শেষে তাদের পরিবারে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



