জুমবাংলা ডেস্ক: মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে পত্রিকাটির সম্পাদক আবুল আসাদকে পুলিশে সোপর্দ করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সদস্যরা। পরে পুলিশ সম্পাদক আবুল আসাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যায়।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকায় সংগ্রামের কার্যালয়ে প্রথমে হামলা ও পরে তালা দেয়ার ঘটনা ঘটে। পরে হামলাকারীরা পত্রিকার সম্পাদককে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।
এর আগে, বিকাল পাঁচটা থেকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারা পত্রিকাটির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা ‘রাজাকার ও সংগ্রাম’ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে সাড়ে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীরা পত্রিকার কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। বিক্ষুব্ধরা এসময় নিউজরুমসহ বিভিন্ন রুমের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
পরে পত্রিকাটির সম্পাদক আবুল আসাদ কার্যালরে বাইরে এসে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কাদের মোল্লাকে শহীদ উল্লেখ করার বিষয়টি আইনসঙ্গত হয়নি বলেও স্বীকার করেন। পরে তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেয় বিক্ষুব্ধরা।
মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাস বুলবুল জানিয়েছেন, রাজাকারের পক্ষে অবস্থান নেয়ার অপরাধে সম্পাদক আবুল আসাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
দৈনিক সংগ্রামের কার্যালয়টি জামায়াত-শিবিরের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বুলবুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে যে পত্রিকাটির অফিসটি ব্যবহৃত হতো আমরা তার প্রমাণ পুলিশকে দেখিয়েছি। আমরা সম্পাদককে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছি। সম্পাদক তখন জনতার সামনে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।’
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংগ্রাম পত্রিকার ‘ডিক্লারেশন’ বাতিলের দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের এই নেতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।