নির্বাচনে তার ভাসুর হয়েছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পোলিং এজেন্ট। সে কারণে ভরা বাজারে এক নারীকে কান ধরে উঠবস করালেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বৈকুণ্ঠপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কাঁদতে কাঁদতে ওই নারীকে কান ধরে উঠবস করতে দেখা যাচ্ছে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, বাজারের মধ্যে শাড়ি পরা এক নারী কানধরে উঠবস করছেন। পাশে বাজারের ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে আছেন তার মেয়ে।
উল্টোদিকে তাকে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন মহিলা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মিতা দাস । সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই ভিডিও ভাইরাল হতেই আলোড়ন পড়েছে বর্ধমানে।
নারীর কান্নাতেও দমে যায়নি তৃণমূল নেত্রী। তিনি মুখের মাস্ক গলায় ঝুলিয়ে আরো কড়া হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে বলেন, মেয়েদের দিয়ে চ্যাংড়াবো।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের বৈকণ্ঠপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের হ্যাচারি রোড ক্যানেলপাড় এলাকার বাজারে। ভুক্তভোগী ওই নারীর ভাসুর বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন।
নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে মিতা দাস জানান, ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপি কর্মীরা ওই এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ও তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। পরদিন সকালে ওই নারীকে একা পেয়ে মারধর করতে যান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে তাকে নিগ্রহের হাত থেকে বাঁচাতে লঘু শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন বলেও দাবি করেন মিতা।
বিজেপির দাবি, ফলপ্রকাশের পর থেকেই বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকায় সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। ঘরছাড়া করা হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের। দ্রুত তৃণমূল নিজেকে সংযত না করলে মানুষ পাল্টা আক্রমণ করবে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।