জুমবাংলা ডেস্ক : কানাডাগামী দু’শত ছাত্র-ছাত্রীদের জমাকৃত টিউশন ফি’র প্রায় ৩০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে প্রতারক বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো.বাশার। প্রতারণার শিকার এসব ছাত্র-ছাত্রী গতকাল সকাল থেকে রাত পৌনে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গুলশানস্থ বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের অফিস ঘোরাও করে রেখেছিল।
বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা বিএসবি গ্লোবালের পলাতক চেয়ারম্যান মো. বাশারের স্ত্রী ভাইস-চেয়ারম্যান খন্দকার সেলিনা রওশন , জিএম আবু জাহিদ ও ক্যাশিয়ার মাহবুবকে আটক করে গুলশান থানা এরিয়ার কর্তব্যরত সেনা কর্মকর্তাদের কাছে সোপর্দ করেছে। গতকাল সোমবার রাতে প্রতারণার শিকার ছাত্রদের পক্ষ থেকে মো. মেহেদী হাসান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গুলশানস্থ বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অফিস ঘেরাও-কালে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন, বিগত দেড় থেকে দু’বছর যাবত বিএসবি গ্লোবালের চেয়ারম্যান মো.বাশার কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির টিউশন ফি বাবদ ছাত্র-ছাত্রীদের জনপ্রতি ১০/১২ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা জালিয়াতি করে চরম ভোগান্তির মাঝে ফেলেছে। কানাডায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠানোর নামে প্রতারণার মরণফাঁদ পেতেছে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক।
কানাডায় পাঠাতে ব্যর্থ হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশন ফি বাবদ জমাকৃত অর্থ ফেরত দিতে নানা টাল বাহানা শুরু করে। টিউশন ফি’র লাখ লাখ টাকা আজ দেবো কাল দেবো বলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গা’ঢাকা দিয়েছে প্রতারণ মো. বাশার।
ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন, কানাডার ভিসা প্রসেসিং এর কথা বলে সরল ছাত্র-ছাত্রীদের মাসের পর মাস হয়রানি করছে প্রতারক চক্র। কানাডার স্বপ্ন দেখিয়ে টিউশন ফি’র কোটি কোটি টাকা ব্যাংকে রেখে লভ্যাংশ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র। তারা বলেন, ভিসা প্রসেসিং এর নামে যে চার্জ কাটা হয়েছে এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাবে বলে অতিরিক্ত যে টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে তা সহ প্রত্যেকের টিউশন ফি’র পুরো টাকা, ব্যাংকের লভ্যাংশের টাকাও সবাইকে অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে। বিক্ষোভ-কালে প্রতারণা শিকার ছাত্র-ছাত্রীরা বক্তব্য রাখেন, তারা হচ্ছেন, আল আমিন, সোহেল, সুমন, নাসরিন সুলতানা, আবু নাঈম ইদু, আনিসুর রহমান, ও জাবের হোসাইন।
তারা বলেন, কানাডার স্টুডেন্ট টিউশন ফি বাবদ প্রায় ২০০ জন স্টুডেন্টদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা নিয়েছে এবং তারা এ টাকা না দিয়ে বার বার তারিখ পরিবর্তন করেছে। তারা এসব প্রতারণ চক্রকে গ্রেফতার-পূর্বক জমাকৃত টাকা ফেরত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা কয়েক দফা গুলশান থানায় গিয়ে উপস্থিত সেনা কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সেনা কর্মকর্তারা টিউশন ফি’র জমাকৃত টাকা উদ্ধারে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সেনা কর্মকর্তারা বিক্ষোভ-কালে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের অফিসে গিয়ে প্রতারক মো. বাশারকে খুঁজে পায়নি। প্রতারক বাশার আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী এমপিদের সাথে দহরমহর সর্ম্পকের দোহাই দিয়ে এতো দিন কানাডা গমনেচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের হুমকি ধমকি দিয়ে বেড়াতো বলে জানা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।