আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিছুদিন আগে খবরে দেখলাম বাংলাদেশে নিম্নবিত্ত মানুষজন জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার জন্য মাছ কিনতে না পেরে মাছের কাঁটা এবং মুরগীর মাংস কিনতে না পেরে মুরগীর পা-হাড্ডি কিনছে।
দ্রব্যমূল্য গত কয়েক বছরে আকাশচুম্বী হয়ে গেছে এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার গরীব মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু এই খবর পরিবেশনের ভঙ্গি দেখে মনে হলো এটা শুধু বাংলাদেশেই হচ্ছে। গরীব লোকজনের মাছের কাঁটা কেনার খবরে সাধারণ মানু সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
অনেককে বলতে দেখলাম দেশ শ্রীলঙ্কা হতে বেশি দেরি নাই! কিন্তু বাস্তব ঘটনা হলো দ্রব্যমূল্য পুরো বিশ্বেই বেড়েছে এবং প্রতিটি দেশেই তা নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলেগেছে।
কানাডা, যা বাংলাদেশের অনেকের কাছেই আদর্শ দেশ হিসেবে গণ্য (সামাজিক নিরাপত্তা, আয় এবং জীবনমানের বিবেচনায়)। এখানকার সাধারণ লোকজনও প্রচণ্ড অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যে আছে। অনেক পরিবারকেই বাসাভাড়া বা বাড়ির লোন যেগাড় করতে গিয়ে খাওয়ার কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে কম খেতে হচ্ছে।
বাংলাদেশের অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করবেন না যে কানাডার বাজারেও মাছের কাঁটা এবং মাংসের হাড্ডি বিক্রি হয়!
অনেকেই এগুলো কিনতো স্যুপ বা স্টু বানানোর জন্য। কিন্তু এখন অনেকেই সাধারণ খাবার হিসেবে কিনছে মাছ-মাংস কেনার সামর্থ্য কমে যাওয়ার কারণে।
আরেকটা বিষয়, আগে এই মাছের কাঁটা বা মাংসের হাড্ডি বিক্রি হতো চাইনিজ বা এথনিক দোকানগুলোতে, যেখানে সাধারণত নিম্নবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্তরা বাজার করে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এগুলো কানাডার মূলধারার গ্রোসারী দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে, অর্থাৎ এগুলোর ক্রেতা বাড়ছে।
স্যামন মাছের কাঁটা ৩.৯৯ ডলার, মাথা ৪.৯৯ ডলার আর মাছ ১৪.৯৯ ডলার এবং গরুর হাড্ডি ৩.৫৭ ডলার আর মাংস ৮.৪৯ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।