আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাপড়ের ওপর দিয়ে যৌন হয়রানি করেছেন বলে যৌন হয়রানি হয়নি। ভারতের মুম্বাইয়ের একটি আদালত এমন রায় দিয়েছে যা দেশটির মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ২০১৬ সালে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীকে যৌন হয়রানি করেন। ওই ব্যক্তি কিশোরীর বুক চেপে ধরে এবং তার আন্ডারওয়্যার খোলার চেষ্টা করে।
কিন্তু গত সপ্তাহে মুম্বাই হাই-কোর্টের বিচারক পুষ্প গেন্দিওয়ালা ওই আসামীর সাজা কমিয়ে দিয়েছেন। অপরাধীর তিন বছরের সাজা কমিয়ে এক বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে শরীরে শরীরে কোনো সংযোগ হয়নি।
এরআগে নিম্ন আদালতের মামলায় ওই আসামীর তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করেন। সেখানে তার সাজা কমিয়ে এক বছর করা হয়। রায়ের পর্যালোচনায় বিচারক গেন্দিওয়ালা বলেন, ‘অপরাধ বিচারের মূল নীতি হলো অপরাধের ধরন অনুযায়ী সমানুপাতিক হারে সাজা হওয়া।’
কিন্তু আদালতের এমন রায়ের পর মানবাধিকার কর্মী , আইনজীবীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। তারা এই রায়ের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, সকল উচ্চ আদালত এবং নিম্ন আদালতের জন্য একটি খারাপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হল। ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশন এক টুইট বার্তায় ‘রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা দিয়েছে।
২০১৮ সালের সরকারি তথ্যানুসারে ভারতে প্রতি ১৫ মিনিটে একটি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দেশটি নারীদের জন্য বিশ্বের অন্যতম খারাপ দেশ হিসেবে কুখ্যাতি কুড়িয়েছে। ২০১৮ সালে ভারতে ৩৪ হাজার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।