আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্কুলের শ্রেণিকক্ষেই এক ছাত্রীর পিরিয়ড শুরু হয়। এক পর্যায়ে রক্তের দাগ পোশাকেও লেগে যায়। সেই ঘটনায় শিক্ষকের বকুনিতে লজ্জায় মুষড়ে পড়ে ওই ছাত্রী। অবশেষে লজ্জা সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
গেল শুক্রবার কেনিয়ার নাইরোবির কাবিয়ানগেক এলাকার এক স্কুলে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই ছাত্রীর মায়ের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, স্কুলের মধ্যেই পিরিয়ডের ঘটনায় একজন শিক্ষক তার মেয়েকে অপমান করেন। আর বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে লজ্জায় তার মেয়ে বাড়িতে এসে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ঘটনার পরই দুই শতাধিক অভিভাবক ওই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভ থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ।
নিহত শিক্ষার্থীর মায়ের দাবি, ওই শিক্ষক তার মেয়েকে নোংরা বলেছেন। এ ঘটনায় তার মেয়েকে ওই দিনই স্কুল থেকে বের করে দেয়ারও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, পিরিয়ড শুরুর সময় তার মেয়ের কাছে কোনো প্যাড ছিল না। অথচ শিক্ষক তাকে ক্লাস থেকে বের করে দিয়ে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেই কেনিয়ায় একটি আইন করা হয়েছিল। এতে দেশের প্রতিটি স্কুলে ফ্রি স্যানিটারি টাওয়াল থাকার কথা বলা হয়েছিল। এরপরও কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটল, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।