নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের প্রধান দু’টি সার কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) এবং চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) এর উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে।
রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলার কারণে সার উৎপাদন আপাততঃ বন্ধ রয়েছে বলে জানান কারখানা কর্তৃপক্ষ।
কাফকো ও সিইউএফএলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। এ দুটি কারখানায় দৈনিক চাহিদা ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
কেজিডিসিএল সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড আবাসিক ও শিল্প-কারখানায় সরবরাহ করছে মাত্র ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হলেও আবাসিক খাতে এখন কোনও সংকট দেখা যায়নি।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক অপারেশন প্রকৌশলী আমিনুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের চাহিদা যত আছে, এখন তার চেয়ে একটু কম পাচ্ছি। আমরা বর্তমানে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো পাচ্ছি। তবে বরাদ্দ আরও কিছু বাড়ানো হবে। তখন আমাদেরকে তেমন কোনো অসুবিধায় পড়তে হবে না। শিল্প-কারখানায় মাঝে মাঝে প্রেসার কিছুটা কম থাকলেও চট্টগ্রামে গ্যাসের তেমন সংকট নেই।
তিনি বলেন, কাফকো ও সিইউএফএল গ্যাসের কারণে বন্ধ রাখা হয়নি। কাফকো এবং সিইউএফএল চালু হলেও চট্টগ্রামে তেমন গ্যাস সংকট হবে না। তখন গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হবে। এখন চাহিদা না থাকায় সরবরাহ কিছুটা কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিদ্যুতের ক্ষেত্রে এখন শুধুমাত্র শিকলবাহা ছাড়া অন্য কোনও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ নেই বলে জানান প্রকৌশলী আমিনুর রহমান।
পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটসহ গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু রয়েছে। চট্টগ্রামে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সচল রয়েছে কেবল কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গ্যাস নির্ভর সবগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করতে হলে চট্টগ্রামে গ্যাস সংকটের আশঙ্কা দেখা দেবে।
এদিকে, গ্যাস সংকটের কারণে চট্টগ্রামের গার্মেন্টসগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র নেতারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।