আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাবুল থেকে সব ব্রিটিশ সৈন্য, কূটনীতিবিদ ও কর্মীদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আর এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ডাউনিং স্ট্রিট। খবর বিবিসি বাংলার।
রয়্যাল এয়ারফোর্সের সবশেষ বিমানটির প্রস্থানের মধ্যে দিয়ে আফগানিস্তান যুদ্ধে ব্রিটেনের কুড়ি বছরের সংশ্লিষ্টতার অবসান হলো। গত ১৪ই আগস্ট হতে কাবুল থেকে পনের হাজারের বেশি মানুষ সরিয়ে এনেছে যুক্তরাজ্য।
কাবুল থেকে ইতালির সর্বশেষ উদ্ধার ফ্লাইটও শনিবার রোমে পৌঁছেছে। এর আগে জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াও তাদের উদ্ধার অভিযান শেষ করার কথা ঘোষণা করে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের আবারও সতর্ক করে দিয়েছে তারা যেন কাবুল বিমানবন্দর এড়িয়ে চলে। তবে সেখানে তারা শেষ মূহূর্ত পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রাখবে।
ব্রিটেনের সামরিক বাহিনীর প্রধান জানিয়েছেন, আফগানিস্তান থেকে বেসামরিক নাগরিকদের উদ্ধার অভিযান আজ শেষ হচ্ছে।
জেনারেল স্যার নিক কার্টার শনিবার বলেন, কাবুল থেকে এখনও কিছু ফ্লাইট যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ছাড়ছে, কিন্তু এগুলোর সংখ্যা খুবই কম।
তিনি বলেন, সবাইকে যে শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি, সেটা খুবই হৃদয়বিদারক। আফগানিস্তান থেকে ব্রিটেনে আসার উপযুক্ত বহু আফগানকে সেখানে রেখে আসতে হচ্ছে।
তালেবান এ মাসে কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর সেখান থেকে গণহারে উদ্ধার অভিযান শুরু করে বিভিন্ন দেশ।
বিবিসির টুডে অনুষ্ঠানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্যার নিক কার্টার বলেন, আমরা আমাদের উদ্ধার অভিযানের শেষ পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছি। আজকের (শনিবারের) মধ্যেই এটি শেষ হবে। এরপর বাকি বিমানগুলোতে করে আমাদের সৈন্যদের ফিরিয়ে আনতে হবে।
উদ্ধার অভিযান যখন পুরোদমে চলছিল, তখন সেখানে প্রায় এক হাজার ব্রিটিশ সৈন্য ছিল। তবে এর মধ্যে কিছু সৈন্য আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে।
মার্কিন হুঁশিয়ারি
কাবুল বিমানবন্দর ব্যবহারের বিরুদ্ধে মার্কিন দূতাবাস আবারও মার্কিন নাগরিকদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছে।
এই হুঁশিয়ারিতে আফগানিস্তানের মার্কিন দূতাবাস বলেছে, তারা যেন বিমানবন্দরে যাওয়া এড়িয়ে চলে এবং বিমানবন্দরের কোন গেট ব্যবহার না করে। যারা এরই মধ্যে বিমানবন্দরের বিভিন্ন প্রবেশপথে অপেক্ষা করছে, তাদের অবিলম্বে সেই স্থান ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
তালেবান দাবি করছে, তারা কাবুল বিমানবন্দরের কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, তবে যুক্তরাষ্ট্র এই দাবি অস্বীকার করছে।
কাবুল বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবারের হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছিল আইএস-কে (ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান প্রভিন্স)।
মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে একটি ড্রোন হামলা চালিয়ে ইসলামিক স্টেট খোরাসান গ্রুপের এক নেতাকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে।
মার্কিন বাহিনী দাবি করছে, গত বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে হামলার পেছনে এই ব্যক্তি অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিল তাদের বিশ্বাস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।