জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরিস্থিতিতে সরকারি ছুটির দিনগুলোতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা, যাতায়াত ও থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার শর্তে কিছু গার্মেন্টস, ওষুধ ও রপ্তানিমুখী কারখানা খোলা রাখা যাবে। তবে জরুরি পণ্য ছাড়া কোনো গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দেশের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সাধারণ ছুটি ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসময়ে রপ্তানিমুখী কারখানা খোলা রাখা যাবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা।
এছাড়া সরকারি ছুটির দিনগুলোতে ১৮টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খোলা রাখার সুপারিশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সরকারি ছুটির দিনগুলোতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা, যাতায়াত ও থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে কিছু গার্মেন্টস, ওষুধ ও রপ্তানিমুখী কারখানা খোলা রাখা যাবে। এছাড়া করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা-সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো খোলা রাখার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কারণ, সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় অনেক কাজে সমন্বয় করতে সমস্যা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার দেশের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটি। গত ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে টানা ৩১ দিনের ছুটি চলছে। তারপরও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় পঞ্চমবারের মতো ছুটি বাড়ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।