জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপনে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের কয়েকটি কারাগারে বন্দিদের মধ্যে বিদ্রোহ দেখা যায়। সে সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ কয়েকটি কারাগারে অস্থিরতা বিরাজ করে।
সেসব কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ জেল ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে কাজ করে। পরে আস্তে আস্তে সেসব কারাগারের সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে আসে। এখনো কিছু কারাগারের বাইরে সেনা সদস্যদের টহল চলমান আছে।
বর্তমানে ঢাকা বিভাগের ১৭টি কারাগারে বন্দিরা নিয়ম মাফিক আগের মতোই কাজকর্ম করে যাচ্ছে।
কারাবিধি অনুযায়ী স্বজনরা বন্দিদের সঙ্গে সরাসরি কারাগারে এসে সাক্ষাৎ করছেন। পাশাপাশি নিয়ম অনুযায়ী টেলিফোনে কথা বলতে পারছেন।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার কয়েকটি কারাগার থেকে জানায়, বর্তমানে কারাগারে বন্দিদের অবস্থা স্বাভাবিক পর্যায়ে আছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তিনবেলা বন্দিরা খাবার-দাবারের পাশাপাশি স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এ ছাড়া কারা নিয়ম অনুযায়ী টেলিফোনে স্বজনদের সঙ্গে বন্দিরা কথা বলছেন।
এদিকে নতুন দায়িত্ব নেওয়া ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ঢাকা বিভাগস্থ কারাগারগুলোতে বন্দিরা বর্তমানে নিরাপদ ও স্বস্তিতে আছে। এ বিভাগে দায়িত্বরত কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্ব স্ব কারাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিতপূর্বক বন্দিদের নিরাপদ আটক নিশ্চিতে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বন্দিদের থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ, সরকারি টেলিফোন মারফত কথা বলা সবকিছুই সরকারি বিধিবিধানের আলোকে স্বাভাবিক আছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে কারাগারগুলোকে আরও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।
ঢাকা বিভাগের আওতাভুক্ত কারাগারগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কাশিমপুরস্থ ৪টি কেন্দ্রীয় কারাগার, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।