কার জন্য কোটি টাকার বিএমডাব্লিউ গাড়ি কিনতে যাচ্ছেন তামিমরা?

কার জন্য কোটি টাকার বিএমডাব্লিউ গাড়ি কিনতে যাচ্ছেন তামিমরা?

তামিমের কেনা গাড়ির মালিক কে?

স্পোর্টস ডেস্ক : তামিম নিজে ভালো গাড়িতে চলেন, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু গভীর রাতে এর আগে কখনোই কারো জন্য গাড়ি কিনতে বের হননি। মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস নগদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক এবং জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ছুটছেন অন্য এক জনের জন্য এই গাড়ি কিনতে।

কার জন্য কোটি টাকার বিএমডাব্লিউ গাড়ি কিনতে যাচ্ছেন তামিমরা?

কার জন্য এই গাড়ি কিনতে যাচ্ছেন তামিমরা?

রহস্য বেশিক্ষণ ধরে রাখলেন না তামিম। নিজেই জানালেন, নগদ বিশাল একটা ক্যাম্পেইন নিয়ে এসেছে। যেখানে আগের মতই নিয়মিত ও বড় অংকের ক্যাশ ব্যাক পাচ্ছেন গ্রাহকরা। এ ছাড়া এক মটর সাইকেল, ফ্রিজ, ট্যাব, হেডফোন, সেডান গাড়ি জেতার সম্ভাবনা থাকছে। সবচেয়ে বড় চমক হলো, এই ক্যাম্পেইনে মাত্র ৫০০ টাকার কেনাকাটা করেই কেউ একজন পেয়ে যাবেন কোটি টাকার একটা বিএমডাব্লিউ গাড়ি।

দু’জনের কথায় বোঝা গেলো, বাংলাদেশকে ক্যাশলেস করার জন্যই করা হচ্ছে এই ক্যাম্পেইনটা। তামিম প্রশ্ন করলেন, ‘তানভীর ভাই, আমি শুনেছি, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ৭৫ শতাংশ ক্যাশলেস হয়ে যাবে। আমরা যখন বিদেশ যাই তখন দেখি, ক্যাশ যা নিয়ে গিয়েছিলাম, তা থেকে গেছে। কার্ড আর ডিজিটাল ওয়ালেটে সব কেনাকাটা-প্রয়োজন মিটে যায়। আপনি কী বলবেন, আমরা ক্যাশলেস হতে পারবো?’

তানভীর এ মিশুক বললেন, ‘দেখেন, আমরা এই ক্যাম্পেইনটা করছি কেনো? ক্যাশব্যাক ২৫-৫০ টাকা তো অনেকেই দেয়। কিন্তু আজকাল আমাদের দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে বেশিরভাগ মানুষের কাছে এই সামান্য ক্যাশব্যাক খুব অর্থ বহন করে না। তাই আমরা ক্রেতাদের ডিজিটাল লেনদেনে আগ্রহী করতে নতুন একটা চমক নিয়ে এসেছি। আমরা দামী কিছু গিফট দিতে চাই।’

এই দামী গিফট কী করে ডিজিটাল লেনদেনে আগ্রহী করবে, তাও ব্যাখ্যা করে বললেন তানভীর এ মিশুক, ‘নগদ প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ করেছে মূলত গ্রাহকদেরকে আরো বেশী ডিজিটাল পেমেন্টে উৎসাহিত করতে। তাতে করে ১০ কোটি বাংলাদেশের পুরো ডিজিটাল খাতের জন্যে শতকোটি টাকার সুবিধা হয়ে ফেরত আসবে। কারণ ডিজিটালি কেনাকাটার ফলে যে ডিজিটাল ডেটাবেজ তৈরী হবে তাতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই লাভ। হবে মূলত কোটি কোটি গ্রাহকের ডিজিটাল ডেটাবেজের ওপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যতে ক্রেডিট রেটিং, ডিজিটাল লেন্ডিং, বাই নাউ পে লেটার সেবাগুলো চালু করতে সুবিধা হবে। কারণ এসব সেবা মূলত ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট আছে এমন গ্রাহকের তথ্যের ভিত্তিত্ আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের মাধ্যমে তৈরী হবে।’