জুমবাংলা ডেস্ক : জয়পুরহাটের কালাইয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়েছে স্বামী। নিহত গৃহবধূর নাম তানিয়া বেগম (২০)। শুক্রবার সন্ধ্যায় কালাই পৌরসভার কাজীপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত স্বামী ফেরদাউস হোসেন ওই মহল্লার বাক্কার হোসেনের ছেলে। এর আগে হত্যা মামলার আসামি হয়ে তিন বছর কারাভোগ করেছে ফেরদাউস। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, তানিয়াকে মারধরের একপর্যায়ে সে মারা গেলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্যই লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রতিবেশীরা জানান, দু’বছর আগে ফেরদাউস হোসেনের সঙ্গে ক্ষেতলাল উপজেলার বুড়ইল গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে তানিয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও এক মাস আগে ফেরদাউস দ্বিতীয় বিয়ে করে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াবিবাদ চলছিল। গতকাল বিকেলে ঝগড়ার একপর্যায়ে তানিয়াকে প্রচণ্ড মারধর করে ফেরদাউস। এতেই তানিয়া মারা যান বলে অভিযোগ তাদের।
বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে তানিয়ার মরদেহে দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর ফেরদাউসসহ পরিবারের সবাই বাইরে গিয়ে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের জানায়, তানিয়া গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে এক ফাঁকে ফেরদাউসসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তানিয়ার মাথায় আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে।
প্রতিবেশীরা জানান, দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য তানিয়াকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেননি।
তানিয়ার বাবা জিয়াউর রহমান বলেন, আমার নিরপরাধ মেয়েকে নির্যাতন করে সবাই মিলে হত্যা করেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
কালাই থানার ওসি আব্দুল লতিফ খান বলেন, মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তবে ঘটনার পর থেকে ওই পরিবারের সবাই পলাতক। মেয়ের বাবা বাদী হয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।